বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৭ পূর্বাহ্ন

সীমান্তে গোলাবর্ষণের ঘটনায় যা বলছে মিয়ানমার

সীমান্তে গোলাবর্ষণের ঘটনায় যা বলছে মিয়ানমার

সীমান্তে গোলাবর্ষণের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর চাপিয়েছে মিয়ানমার সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সীমান্তে হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করে দেশটি।

গতকাল সোমবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক উ জাউ ফিউ উইন। সোমবার রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এই তথ্য প্রকাশ করে।

সীমান্তে গোলাবর্ষণের ঘটনায় উ জাউ ফিউ উইন বলেন, আরসাকে সঙ্গে নিয়ে আরাকান আর্মি গত ১৬ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩১ নম্বর সীমান্ত ফাঁড়িতে মর্টার হামলা চালায়। ওই হামলার সময় তিনটি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে পড়েছিল। এর পাশাপাশি আরাকান আর্মি ও আরসা ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর বিজিপির ৩৪ নম্বর সীমান্ত ফাঁড়িতে মর্টার হামলা চালায়। এ সময় ৯টি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে।

জ ফিউ উইন আরও বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার সময় মিয়ানমার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সীমান্তে গোলা ছোড়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। পরে ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো আরও একটি মর্টারশেল এসে পড়ে বাংলাদেশে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সবশেষ ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার কোনারপাড়ার বাসিন্দা নুর হাসিনার বাড়িতে এসে পড়ে মর্টার শেল। ওই এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই দিনে ও রাতে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। মাঝে মধ্যে হেলিকপ্টার ও জেট ফাইটার থেকেও ছোড়া হচ্ছে গোলা।

গত শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে আসা গোলা সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরিত হলে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। ওইদিন সকালেই ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ‘মাইন’ বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবকের পা উড়ে যায়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




© All rights reserved © 2022 Protidiner Kagoj