শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা :
তার ছুটে চলা সর্বত্র। কখনও তিনি লাঠি হাতে মহাসড়কে, কখনও মানুষের দুঃখ-কষ্ট,সমস্যা নিরসনে থানার গোলঘরে। আবার কখনও সমস্যা সমাধানে গ্রামের মেঠোপথে ছোটাছুটি। এসবের একটাই লক্ষ্য পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। বলছি মানবিক এক পুলিশ অফিসারের কথা। নাম তার মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন । ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তিনি। ত্রিশাল থানায় যোগদান করেছেন ১৯ মাস আগে ।
দুরন্ত এই ওসির দায়িত্ব পালনের ভৌগোলিক সীমা সামান্য হলেও তার কাছে সহায়তা চাওয়ার ক্ষেত্রে যেন নেই কোনো সীমারেখা। আইনগত সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা কিংবা পরামর্শ চেয়ে তার কাছে কল আসে উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাধারন মানুষের। মানবিক ও ব্যতিক্রমী সব উদ্যোগ নিয়ে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই পাওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তার কারণে ত্রিশাল থানায় সারাক্ষণ ভিড় থাকে সহায়তা প্রত্যাশীদের।
ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, ‘আমি মানুষের আস্থার ঠিকানা হতে চাই। তারা স্বপ্নে যে পুলিশ প্রত্যাশা করে, আমি সেই পুলিশ হয়ে বাঁচতে চাই। শুধু পদাধিকার বলে নয়, হতে চাই জনগণের প্রত্যাশার ওসি। মানুষের মনে দীর্ঘদিন ধরে যত নেতিবাচক ধারণা সব মুছে দিতে চাই। মানুষের মাঝে থাকা পুলিশভীতি দূর করতে ওসি নিজেই গিয়েছেন এলাকায় এলাকায়। সেখান থেকে মাদক, ইভটিজিং সহ অন্যান্য অপরাধ ও অপরাধী সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি। সমাধানযোগ্য বিষয়গুলো তাৎক্ষণিক সমাধান করেন। বাকি সমস্যাগুলো নোটবুকে টুকে নেন, পরে তাও সমাধান করে দেন। এই উদ্যোগ পুলিশ- জনতা আস্থার সম্পর্ক তৈরির পাশাপাশি অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধেও ব্যাপক ভ‚মিকা রাখে। ওসি মাইন উদ্দিন এই উদ্যোগের ফলে অপরাধ জগত থেকে স্বাভাবিক জীবনে এসেছেন অনেকেই।
এমননি একজন মাদক সেবী আজিজুল হক মিয়া। আজ সে সংসার চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছে। বর্তমানে ওসি মাইন উদ্দিন ব্যস্ত মাদকশূন্য ও সামাজিক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা মুক্ত এলাকা গড়তে। দেশের প্রথম মাদকশূন্য থানা গড়তে চান তিনি। এ লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক অভিযানও শুরু করেছেন সাখুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: আজিজ জানান, একজন ওসি গোলঘরে বসে সাধারন মানুষের সেবা দেন এই প্রথম দেখলাম।সাধারন মানুষ সহজেই তার কাছে গিয়ে কথা বলতে পারে বিধায় জনগন খুবই খুশি।নিরহংকারী একজন মানুষ, সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তাকে সহজেই থানার গোলঘরে গিয়ে কথা বলে আইনি সেবা নেন।