বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন
বান্দরবান ও রাঙামাটির সীমান্তবর্তী বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ ৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র , গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বান্দরবানের র্যাব-১৫ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংকালে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। সম্প্রতি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারী অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এদিকে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া বিভিন্ন জেলার ৫০ তরুণের তথ্য পায় র্যাব। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয়। তারই সূত্র ধরে গত ১২ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী সীমান্তঘেঁষা দুর্গম পাহাড়ে বাড়িছাড়া কিছু তরুণ জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ‘কৃকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জঙ্গি গ্রুপের মারুফ আহমদ মানিক (৩১), ইমরান হোসেন শাওন (৩১), কাওসার শিশির (৪৬), জাহাঙ্গীর আহম্মেদ জুনু (২৭), মোহাম্মদ ইব্রাহিম আলী (১৯), আবু বকর সিদ্দিক বাপ্পী (২৩) ও রুফু মিয়া (২৬) এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপের যৌথান সাং বম (১৯), স্টিফেন বম (১৯) এবং মালসম বম (২০)। তবে এই অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া জঙ্গি গ্রুপের মাস্টার মাইন্ড ও উপদেষ্টা শামীম মাহফুজ এবং স্থানীয় সশস্ত্র গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর প্রধান নাথান বমকে আটক করা যায়নি।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে টানা অভিযান চালিয়ে বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বন্ধুক, গুলি, কার্তুজ কেইস, ওয়াকিটকি, মানচিত্র ও বিভিন্ন ধরনের পোশাক।
পার্বত্য এলাকায় সাধারণ জনগণের উন্নয়ন ব্যাহত ও শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গে যারা জড়িত থাকবে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে সেই ধরণের সকল সংগঠন ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।