মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারাঃ
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী (সরকারের সচিব) বলেন,বালুচর হচ্ছে নদীর জমি। আর নদী, খাল, বিল এসব গণঅধিকার সম্পত্তি। তাই নদীর জমি বিক্রি বা কাউকে লিস দেওয়া যায় না। আর সরেজমিনে এসে এটা প্রতিয়মান হয় যে, কর্ণফুলী ড্রাই ডক নদীর জায়গায় অবস্থিত।
আর নদীর জায়গা কোনো বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত কাজেও ব্যবহার করা যায় না। এটা ১নং খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা আছে৷ সুতরাং কর্ণফুলি ড্রাই ডককে এই জায়গা কারা দিলো কিভাবে দিলো তাদের আধৌ দেওয়ার সুযোগ আছে কি-না বিষয়টি তদারকি করে দেখা হবে। এসময় নদীর বালুচরে গাছ কেঁটে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বালুচরে বেড়ে ওঠা গাছও কেউ কাটতে পারে না এবং বন বিভাগও এটা কাটার অনুমতি দিতে পারে না। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কর্ণফুলী নদীর জলাধারের দখল, দূষণ, নাব্যতা স্থানীয় নদীসংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে সরেজমিন পরিদর্শন ও কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও স্হানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, বদলপুরা মৌজার ২৩৮ দাগটির শ্রেনী নদী হচ্ছে নদী এ দাগে জমির পরিমান ১২.৫০ একর জমি রয়েছে। তারমধ্যে ভেজা অধিগ্রহন করে কর্ণফুলী ড্রাইডককে লিস দিয়েছে ১১.০৬ একর, কেইপিজেড কে দেওয়া হয়েছে ১.৩৪ একর। ভেজা সব মিলিয়ে কর্ণফুলি ড্রাইডককে
২০.৯৮ একর জমি লিজ দিলেও ড্রাইডক অন্যান্য দাগে আরো ৯ একরের বেশি দখলে নেওয়ার চেষ্ঠা করছে। আর বর্তমানে বনবিভাগ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অর্ধ কোটি টাকার বেশি মূল্যের গাছ কেঁটে ফেলেছে । রাতারাতি শতশত গাছ নিমিশেই কর্তন করা হয়েছে। যা এলাকার পরিবেশ হুমকিতে পড়বে বলে আমরা মনে করি।
এসময় সরেজমিনে উপস্থিত থেকে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, গাছ কেঁটে ফেলার জায়গাটা আমরা বেজাকে লিস দিয়েছি তাঁরা আমাদের না জানিয়ে অন্য একটি তৃতীয় পক্ষের সাথে চুক্তি করে বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কর্তন করে ফেলছে। আসলে এই বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এবিষয়ে বেজার সাথে কথা বলে প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আনোয়ারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন, মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেনসহ কর্ণফুলী ড্রাই ডক এবং নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, রোববার (০৬ নভেম্বর) সকাল থেকে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির পাশে কর্ণফুলী নদীর চরে ঘেঁষে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ম্যানগ্রোভ বাগান স্কেভেটর দিয়ে ড্রাই ডক কর্তৃপক্ষ কেঁটে ফেলেছে।