বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল আনসারীর বিরুদ্ধে চাকুরির মেয়াদ শেষ হলেও দায়িত্ব না ছাড়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই প্রধান শিক্ষক গত ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে চাকুরির মেয়াদ ৬০ বছর পূর্ণ করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষক বিধি অনুযায়ী ৬০ (ষাট) পূর্তিতে অবসরে গেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং শিম/শা: ১১/১৩-৯/২০১১/২৫৬; তারিখ ৬ জুন ২০১১ এবং স্মারক নং শিম/শা: ১১/১৩-৯/২০১১/৪৮৪; তারিখ ৯ জুলাই ২০১২ অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। এই চাকুরি বিধি উপেক্ষা করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো, শরিফুল আনসারী দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে স্বপদে বহাল রয়েছে।
এ দিকে জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতি মালা ২০২১ এর অনুচ্ছেদ ১১,১১ মোতাবেক আর্থিক সুবিধা/ এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদন ক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে।
যদিও অভিযুক্ত শিক্ষক শুধুমাত্র চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ আবেদন দিয়ে ও সরকারের অনুমোদন না নিয়ে স্বপদে বহাল থেকে আয়ন/ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্বসহ প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । যা আইন পরিপন্থি এবং আর্থিক বিধি বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
গত ২৩ অক্টোবর জেলা শিক্ষা অফিসার মনিরা মুস্তারি ইভা স্বাক্ষরিত প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর দপ্তর কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এই মর্মে প্রধান শিক্ষক বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত ও সর্বশেষ ২৭ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারের বিধির কোন তোয়াক্কা না করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো, শরিফুল আনসারী দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা নাসরিন অভিযোগ করে বলেন, আমি সরকারি পত্র পাওয়ার পর তাকে মৌখিকভাবে জানালে সে আমাকে বলে আমার সরকারি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আছে, কিন্তু কোন রূপ কাগজ দেখাতে পারেনি। বরং উল্টো আমার কাছে বেতন বিলে সাক্ষরের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।