শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
আবুল হাসনাত মিনহাজ: সংস্কারকাজ শেষে প্রায় ১৫ মাস পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সকাল ১০টা থেকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে ৮ ফুট উচ্চতার বেশি গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে কর্ণফুলী নদীর দুই পারের বাসিন্দাদের। সংস্কারকাজের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট সেতু দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পুরোনো সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হওয়ায় স্থানীয় বোয়াল খালীর বাসিন্দারা খুশি। তাঁদের এখন দাবি, নতুন সেতুর নির্মাণকাজ যেন দ্রুত শুরু করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতু দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টেম্পো, মাইক্রোবাস, কার, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। সেতুর এক পাশে হেঁটে চলাচলের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি দিয়ে অনেক পথচারী সেতু পার হন। সেতুর সংস্কার কাজ চলায় নগরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ ১৪ মাস ব্যবহার করতে হয় ফেরি। এসময় এ পথের যাত্রীদের পোহাতে হয়।ঘটে প্রাণহানিসহ একাধিক দুর্ঘটনা। সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হওয়ায় এ দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন সেতু ব্যবহারকারীরা।কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচলে আপাতত টোল রাখছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত জানান,’সেতুটি যান চলাচলের জন্য উপযোগী হওয়ায় রোববার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ৯০ বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুটি বুয়েট বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হয়। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৪ মাস সংস্কার কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। সংস্কার কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে।
সেতুতে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর সেখানে পানি জমবে না। সেতু নির্মাণের ৯৩ বছর পর রেল ও যানবাহন চলাচলের সঙ্গে এখন পথচারীরা পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারছেন।প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়।