২০১৭ সালে জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের ৪৪ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়৷ সম্প্রতি ১২ই ফেব্রুয়ারী রাষ্টপতির অধ্যাদেশে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নাম পরিবর্তন হয়ে ‘জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে গেজেট প্রকাশ হয়৷ গত ২৮ নভেম্বর ৭ বছর পেরিয়ে ৮ বছরে পদার্পন করলেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির আবেদন ফর্মে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এতবছরেও।
সাধারণত চাকরির আবেদন ফর্মে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ থাকে এবং শিক্ষার্থীরা সহজেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি চিহ্নিত করে আবেদনফর্ম পূরণ করেন। এ সকল দিক বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীর জন্য চাকরির আবদেন ফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির আবেদন ফর্মে খুঁজে পাচ্ছেন না নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি ৪৭ তম বিসিএস আবেদন করতে যেয়ে দেখলাম পিএসসির ওয়েবসাইটে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এন্ট্রি করা হয়নি৷ সেখানে ‘আদার্স অপশন’ দিয়ে লিখতে হচ্ছে। একই সাথে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ইন্টার্নশিপ ও বিভিন্ন চাকরি আবেদন করতে গেলে সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাইয়ে সিল মোহর ও নামের অসামঞ্জস্যপূর্ণ থাকায় সেক্ষেত্রে যথেষ্ট ভোগান্তি ও প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া লেগেছে৷ প্রশাসন অতিদ্রুত প্রস্তাবিত নামের সিল মোহর করা অতি জরুরি এবং সদ্য গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটে নতুন প্রাতিষ্ঠানিক নাম ব্যবহৃত হোক, তা না হলে ভবিষ্যতে আরও ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে শিক্ষার্থীদের৷’
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শাজেদা আক্তার শিমলা বলেন, ‘যেখানে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিসিএস সহ সকল চাকরির আবেদনপত্রে রয়েছে, সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না থাকাটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হোক। শিক্ষার্থীদের পেশাগত অগ্রগতির স্বার্থে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চাকরির আবেদনপত্রে যুক্ত করা জরুরি। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নূর হোসেন চৌধুরি জানান, ’এটা নিয়ে আমরা কাজ করতেছি৷ শিগ্রই শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে আমাদের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে চিঠি পাঠাবো৷ যেহুতু কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের গেজেট হয়েছে তাই একটু সময় লাগবে৷ আপাতত শিক্ষার্থীদের আদার্স অপশন দিতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :