ময়মনসিংহের মাদক,দুর্নীতি - অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক ও পত্রিকাটির স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (সাংবাদিক ইবনে ইউনুস), ময়মনসিংহ প্রতিদিন নামে ফেইক আইডি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক জানান,২০১৮ সালে ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক হিসাবরক্ষক ত্রিশাল হরিরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের পুত্র মেহেদী হাসান আরিফ ও তার বন্ধু শীর্ষ সন্ত্রাসী জাতীয় শ্রমিক লীগ ত্রিশাল উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীনসহ একটি অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করি। সংবাদ প্রকাশের পর তাকে বদলি করেন মাগুরা জেলায়, পরবর্তীতে তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরখাস্ত করেন।
স্থানীয়রা জানান, এই প্রতিহিংসায় ৫ আগস্টের পর সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিকের বিরুদ্ধে কিছু ছাত্রলীগের কর্মীদের দিয়ে মানববন্ধন ও পোষ্টারিং করানো হয় এবং পতিতাপল্লী নারীদের অশ্লীল ছবি সাথে সংযুক্ত করে রফিকসহ ময়মনসিংহের ৯ জন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে হেয় প্রতিপন্ন করছে মেহেদী হাসান আরিফ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ ত্রিশাল শাখার সহ-সভাপতি জয়নাল আবেদীনসহ একটি সাইবার অপরাধী চক্র। এবিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় রেজাউল করিম রেজা বাদী হয়ে একটি জিডি করেন। যার নং- ১৭৯৭।
সাংবাদিক নেতা ফয়সাল হাওলাদার বলেন, কিছু দিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমাদের সবার প্রিয় অনুসন্ধানী সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিককে নিয়ে (সাংবাদিক ইবনে ইউনুস) ও ময়মনসিংহ প্রতিদিন নামে দুটি ফেক আইডিসহ বেশ কয়েকটি ফেক আইডি দিয়ে ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। এতে যেমন সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে ঠিক তেমনি ময়মনসিংহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্ন ঘটার উপক্রম হয়েছে।
এ সব ফেইক আইডির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও ময়মনসিংহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় সাংবাদিকরা। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ওই সব ফেক আইডির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ফেইক আইডি হতে মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা অপপ্রচারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আমার থানায় একজন সাংবাদিক একটি জিডি করেছেন। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :