Noman Group Advertisement

রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’: বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি নাকি সুযোগ?

নিজস্ব সংবাদদাতা , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০১ পিএম

ছবি: প্রতিদিনের কাগজ

শর্তসাপেক্ষে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি ‘মানবিক করিডর’ স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রাখাইনের জন্য করিডর বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

রাখাইনের জন্য করিডর স্থাপনের সম্মতির পক্ষে সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ শর্তসাপেক্ষে করিডর দেওয়ার পক্ষে। তবে, এটি করতে হলে অনুকূল পরিবেশ ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবার ওপরে রাখছে সরকার। এ করিডর হলে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে পারবেন— এমন ধারণা পোষণ করছেন তারা।

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা রাখাইনের জন্য করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মি ছাড়াও দেশটির ওপর প্রভাব আছে এমন আঞ্চলিক সব পক্ষ একমত না হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এমন করিডর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া মানবিক করিডর শেষ পর্যন্ত মানবিকে সীমাবদ্ধ রাখা যায়নি। বরং মানবিক ইস্যুর সঙ্গে পরবর্তী সময়ে সামরিক নানা বিষয় যুক্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে

স্থানীয় এক কূটনীতিক বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের সহায়তা দিচ্ছি। যতদিন এ সমস্যার সমাধান না হয় সহায়তা দিতে হবে। এখনো কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন, আটকানো যাচ্ছে না। মিয়ানমারের পরিস্থিতি মোটেই ভালো না। সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হলে বড় আকারে রোহিঙ্গা ঢল নামতে পারে। আমরা করিডর দিয়ে দিয়েছি— বিষয়টা এমন না। আমরা যদি করিডর দিই, সেটা অবশ্যই শর্তসাপেক্ষে হবে। পরিবেশ অবশ্যই অনুকূলে হতে হবে। অনুকূল পরিবেশ না হলে করিডরের কথা চিন্তা করে লাভ নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যাদের সাহায্য দেওয়া হবে তাদের নিরাপত্তা, যারা কাজ করবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ কূটনীতিক বলেন, ত্রাণ সহায়তা নিয়ে কোনো রাজনীতি হলে তো হবে না। কাউকে দেবেন, কাউকে দেবেন না— তা করা যাবে না। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকার, তাদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশটির জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মি উভয়েই কঠিন বাস্তবতার মধ্যে আছে। নিজেরা নিজেদের বাস্তবতা যদি বোঝে তাহলে কাজ সহজ হয়ে যাবে। সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হলে শুধু রোহিঙ্গারা আক্রান্ত হবেন, আরাকান আর্মি হবে না; এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। হলে সবাই হবে।

রাখাইনে করিডর দিলে বাংলাদেশ কীভাবে উপকৃত হবে— এমন প্রশ্নে সরকারের ওই কূটনীতিক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আসার কথাটা চিন্তা করেন। তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছেন। এখনো আসছেন। যাওয়াটা তো একই রকম হতে পারে, পারে না? মানবিক করিডর তৈরি করা গেলে রোহিঙ্গারা যদি যেতে শুরু করেন…; আপনাদের কি মনে হয় রোহিঙ্গারা এখানে থাকতে চান? সব রোহিঙ্গা ফেরত যেতে চায়। কেউ যদি মনে করে রোহিঙ্গারা এখানে থেকে যেতে চায়, এটা সঠিক নয়। একবার যদি তারা (রোহিঙ্গারা) যাওয়া শুরু করেন, অন্যরাও মনে করবে যে পরিস্থিতি অনুকূলে, আমরাও যেতে পারি। বিষয়টা এত বেশি অঙ্ক কষে হবে না, এখানে অনেক আবেগ আছে।’

সরকারের আরেক কূটনীতিক মনে করেন, ‘রাখাইনে করিডর দেওয়া, না দেওয়া জাতীয় ঐক্যের বিষয়। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আলাপ-আলোচনার দরকার আছে। মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মিকেও ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। যদি মিয়ানমার বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা আছেন এবং তাদের নিতে রাজি হয়, সেই মর্মে চুক্তি করে মানবিক চ্যানেল দেওয়া যেতে পারে। তবে, এটার সঙ্গে জাতিসংঘসহ মিয়ানমারের ওপর প্রভাব আছে এমন দেশকে সঙ্গে রাখতে হবে।’

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা রাখাইনের জন্য করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, মিয়ানমারে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মি ছাড়াও দেশটির ওপর প্রভাব আছে এমন আঞ্চলিক সব পক্ষ একমত না হলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এমন করিডর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া মানবিক করিডর শেষ পর্যন্ত মানবিকে সীমাবদ্ধ রাখা যায়নি। বরং মানবিক ইস্যুর সঙ্গে পরবর্তী সময়ে সামরিক নানা বিষয় যুক্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে গেলে ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, ‘মানবিক চ্যানেল বা করিডর যা-ই বলা হোক না কেন এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। বিভিন্ন দেশে মানবিক সংকট হলে আমরা কিন্তু ছোট পরিসরে হলেও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিই। সম্প্রতি মিয়ানমারে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে, বাংলাদেশ কিন্তু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনো চ্যানেল না করে যদি সহায়তা করা যায়, আমাদের সেটা করাই ভালো। এছাড়া, মিয়ানমারে যদি দুর্ভিক্ষ হয়ও, কোনো একটা বিকল্প পথ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাইলে বের করতে পারবে। মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে এখন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় নেই। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ভেবে-চিন্তে নিতে হবে।’

মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে গত রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে আমরা এতে সম্মত। কারণ, এটা হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ (মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ) হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্ত রয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত যাচ্ছি না। সেই শর্তাবলি যদি পালিত হয়, আমরা অবশ্যই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর রাখাইনে করিডর দেওয়া নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। সামনে আসে নিরাপত্তাঝুঁকির বিষয়টি। তৌহিদ হোসেনের বক্তব্যে সরকার কিছুটা হলেও বিব্রত হয়েছে। কেননা, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি–সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান। তিনি উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে, তাদের মধ্যে হওয়া আলোচনার বিষয়ে জানা যায়নি। অবশ্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মধ্যে দাপ্তরিক আলোচনা হয়েছে, অন্য কিছু নয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যের পর রাখাইনে করিডর দেওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের ভিন্ন বক্তব্যও এসেছে। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের অবস্থান হলো, যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রাখাইন প্রদেশে সাম্প্রতিককালে একটা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা জানি ওখানে একটা যুদ্ধাবস্থা চলছে। এটা নিয়ে জাতিসংঘ বেশ চিন্তিত। আমাদের জন্য শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, যদি ওখানে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে, তাহলে ছয় লাখের মতো রোহিঙ্গা যারা এখনো মিয়ানমারে অবস্থান করছেন, তারা বাংলাদেশের দিকে আসার চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের দিক থেকে নতুন করে যেন আর রোহিঙ্গাদের ঢল না আসে এবং সেই অবস্থা ঠেকাতে রাখাইন প্রদেশের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে। মিয়ানমার সীমান্তের বাস্তবতায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা যারা আছেন তাদের প্রত্যাবাসন এবং ওই পাড়ে রোহিঙ্গা যারা আছেন তাদের জীবন বাঁচানো— এ দুই প্রেক্ষাপটের আলোকে একটি নতুন উদ্যোগ হয়তো সরকার নিতে চাইছে।’

‘আমরা যদি সুবিধা দিই এবং তার বিনিময়ে কীভাবে এখানে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটা সহজ করতে পারি, বিষয়টি নতুন এ উদ্যোগে রাখতে হবে। তবে, এখানে একটা ঝুঁকি থেকে যায়। সেটা আমরা বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতায় দেখেছি। তবে, ঝুঁকি মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে। যতটুকু সাবধানতা নেওয়া দরকার, সেটা আমাদের রাখতে হবে।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠাতে বাংলাদেশকে চ্যানেল হিসেবে ব্যবহারের প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন। সম্প্রতি জাতিসংঘ বাংলাদেশকে জানায় যে, রাখাইনের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে রাজ্যটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ জানায়, রাখাইনের দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করা না গেলে এবার শুধু রোহিঙ্গা নয়, সেখানে বসবাসরত বাকি জনগোষ্ঠী সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। তাই সেখানকার দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় করিডর স্থাপনে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইছে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শর্তগুলো প্রকাশ করেনি। শর্ত হিসেবে বাংলাদেশ কী চেয়েছে কিংবা সেই একই করিডর দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার সুযোগ থাকবে কি-না, সেটা জানা জরুরি। এছাড়া, এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, চীন বা ভারত কিংবা এমন আরও কোনো শক্তি যুক্ত আছে কি-না বা হবে কি-না, সেটাও জানা জরুরি। মিয়ানমারকে নিয়ে এমনিতেই আমরা ঝামেলায় আছি। আবার নতুন করে যেন এ প্রতিবেশীর সঙ্গে কোনো সংকট তৈরি না হয়, সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং সংঘাতজনিত পরিস্থিতি বিবেচনার বাইরেও রাখাইনে চীন ও ভারতের বিপুল অর্থনৈতিক বিনিয়োগ রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের আশপাশে চীন ও ভারতের তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি ভালোভাবে না নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশ দুটি হয়তো চাইবে না বাংলাদেশ হয়ে রাখাইনে করিডর যাক বা তৃতীয় কোনো পক্ষ এ অঞ্চলে এসে পড়ুক।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমারবিষয়ক গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেছেন, মানবিক করিডরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত হচ্ছে অথচ দেশের মানুষ, রাজনীতিক ও প্রশাসনের কেউ কিছুই জানেন না বলে তারা তথ্য পাচ্ছেন। এসব সিদ্ধান্ত কোথায় হচ্ছে, শর্ত কী, কী হবে— কেউ কিছুই জানেন না। সবাইকে অন্ধকারে রেখে এত বড় সিদ্ধান্তে ঝুঁকি থেকেই যায়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক সব পক্ষ একমত হলেও এ করিডরে বাংলাদেশের স্বার্থ কোথায়?

তার মতে, এ সংক্রান্ত চুক্তিতে সব রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সুযোগ না থাকলে বাংলাদেশে এমন চুক্তিরই প্রয়োজন নেই।

দেশের একটি দৈনিকে লেখা নিবন্ধে আলতাফ পারভেজ উল্লেখ করেন, করিডরের সঙ্গে সামরিক নিরাপত্তার বিষয়টি যুক্ত। ফলে প্রস্তাবিত এ উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই হবে না। যেহেতু এখন দেশে পার্লামেন্ট নেই, সে কারণে বিষয়টি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এবং তাদের সম্মতির আলোকে হওয়া প্রয়োজন।

Link copied!
Advertisement