কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নুরুল আলমের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী নারী ঐ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা উম্মে কুলসুম ( ৩০) বলে জানা যায়।
জানা যায় যে, ঐ নারী দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই সুবাদে দীর্ঘদিনের পরিচয় থাকায় ভুক্তভোগী নারীর মোবাইলের অনলাইন, অফলাইন'সহ নানা যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলত ইউপি সচিব নুরুল আলম।
এর সুত্র ধরে বিভিন্ন কৌশলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাবের ইঙ্গিত করে অভিযুক্ত ইউপি সচিব নুরুল আলম। এসব বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে নিরাপদের জন্য এবং চাকরি বাঁচার জন্য ঐ নারী কাউকে কিছু না বলে নিরবতা পালন করে আসছিল।
তবে বিষয়টি এতই অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণে এখন জনসম্মুখে স্পষ্ট বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী এই নারী।
ভুক্তভোগী নারী বলেন নুরুল আলমের দেয়া কুপ্রস্তাব রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরিতে থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এবিষয়ে বেশকটি ডকুমেন্টস এবং কুপ্রস্তাবের কথোপকথন (মেসেজ) হাতে এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে যখন অনৈতিক কাজে লিপ্ত করতে না পারার দায়ে তাকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করেন ইউপি সচিব নুরুল আলম ।
পরে সাংবাদিকদের সামনে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ডকুমেন্ট সহকারে উপস্থাপন করতে বাধ্য হয় এই নারী উদ্যোক্তা। এবং এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে এবং অভিযোগের বিষয়টি সঠিক কিনা যাচাই-বাচাই করতে অভিযুক্ত ইউপি সচিব নুরুল আলমকে একাধিকবার কল করলেও কোন কল রিসিভ করেনি, পরে তার ওয়াটস্যাপে মেসেজ পাঠিয়েও কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :