ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে অস্থায়ী বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া চলমান থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন হাটে ভিড় করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মুসলমানদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের মতো নবীনগরেও কোরবানির পশুর হাট গুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়।
সরেজমিনে দেখা যায়- শিবপুর, বিটঘর, নবীনগর সরকারি হাই স্কুল মাঠ, ইব্রাহিমপুর এতিমখানা, জিনদপুর, বাইশমোজা প্রভৃতি পশুর হাট গুলোতে ক্রেতা- বিক্রেতার সমাগম চোখে পড়ার মতো। পশু বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। বিশেষ করে দেশি জাতের মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। অনেকেই এখনই কোরবানির পশু কিনে রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ শেষ মুহূর্তে দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। তবে এবার পশুর দাম তুলনামূলক ভাবে সহনশীল।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- নবীনগরে এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৫ হাজার ১৭৬টি পশু। তবে নবীনগরে চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৫ টি পশুর। ফলে এবার চাহিদার তুলনায় ৬১১টি পশু বেশি রয়েছে। খামারিরা এসব পশু পরিচর্যা করে বিক্রির জন্য তৈরি করেছেন।
স্থানীয় খামারিরা জানান-"এবার ভারতীয় গরু না আসায় তারা স্বস্তিতে আছেন। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক মজুরি বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য খরচ বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম কিছুটা বেশি"। তারা জানিয়েছেন-"পশু গুলোকে প্রাকৃতিক ভাবে বড় করতে নিজেদের জমিতে উৎপাদিত ঘাস, বিচালি, খৈল, ভুসি ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়েছে। কোন কৃত্রিম কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হয় নাই"। এক বিক্রেতা বলেন- "আবহাওয়ার সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্ত বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। গতকাল সকাল থেকেই অনেক গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করি ঈদের আগের কয়েক দিন আরও ভালো বিক্রি হবে"।
নবীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. জহিরুল ইসলাম বলেন- "বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নবীনগরের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। এখানকার স্থায়ী ও মৌসুমি খামারিদের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতে কোরবানির জন্য পশু পালন করেছেন। এবার চাহিদার তুলনায় পশু বেশি থাকায় কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই"।
আপনার মতামত লিখুন :