ফরিদপুরে মসজিদের চাবিকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০

এস এ মুরাদ , ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম

ছবি- প্রতিদিনের কাগজ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে মসজিদের চাবি দেওয়া নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের পতনের পর থেকে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্লার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকদের বিরোধ চলছিল।

বিবাদের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে, যখন মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান লুৎফর রহমান ও ইমরানপন্থী নজরুলের কাছে। চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।

এরপর দিনভর উত্তেজনা চলতে থাকে। রাতে মাদরাসার আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন।

কিন্তু শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!