ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সিরাজগঞ্জের চান্দাইকোনা, শেরপুর, ধনকুণ্ডি ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে তার নামে-বেনামে বাড়ি ও জমি রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সম্প্রতি শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর আরিফ সরকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরিফ সরকার দীর্ঘদিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত ছিলেন। দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে ঠিকাদারদের জিম্মি করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান তিনি। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাঁচতলা আলিশান ভবনে বসবাস করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির টাকায় তিনি শেরপুরে একটি এ্যাপেক্স শো-রুম, চান্দাইকোনায় জমিসহ বাড়ি, ধনকুণ্ডি গ্রামে কৃষিজমি ও ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।স্থানীয়রা বলছেন, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন প্রভাবশালী ঠিকাদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন আরিফ সরকার। সেই সুযোগে বিভিন্ন ঠিকাদারির মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন। ফলে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন—একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন?
অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, “একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মাসিক বেতন ১৬ হাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকা। এই আয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সম্ভব নয় যদি না তিনি দুর্নীতি করেন। তাই তার সম্পদের উৎস তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।”
অভিযুক্ত আরিফ সরকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি চাকরি করে এসব সম্পদ অর্জন করেছি। যা খুশি লেখেন, পরে দেখে নেব।এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অ.দা.) রঞ্জন কুমার দাস বলেন, “এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। যদি তিনি অবৈধভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে থাকেন, তবে দুদক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।”
আপনার মতামত লিখুন :