গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও গাজীপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেছেন, ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের প্রতীক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শেই আমরা এগিয়ে চলেছি। জনগণের ভোটাধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। গাজীপুর থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হবে। ৭ নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ গাজীপুর বিএনপি।
শুক্রবার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল শোভাযাত্রা, র্যালি ও পথসভায় এম মঞ্জুরুল করিম রনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে কেউ বিএনপিকে বিরত রাখতে পারবে না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণকালের অন্যতম বৃহত্তম এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক এবং গাজীপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। এতে মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।
শোভাযাত্রা ও র্যালিটি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, বিএনপি নেতা আহমেদ আলী রুশদী, অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন, প্রভাষক বশির উদ্দিন, সুরুজ আহমেদ, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, বশির আহমেদ বাচ্চু, মনিরুল হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম টুটুল, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম মোল্লা ও সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে রাজবাড়ী রোডস্থ জেলা কার্যালয় থেকে আরেকটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গাজীপুর-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ও গাজীপুর-৪ আসনের প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান।
ওই সময় বক্তারা বলেন, ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক। সেই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
শোভাযাত্রা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :