বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করবে: ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

তোবারক হোসেন খোকন , দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম

বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হারিয়ে যাওয়া সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ সবরকম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্যামনগর গ্রামে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী উৎসব-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন আদিবাসী লেখক ও গবেষক মতিলাল হাজং। পরবর্তীতে প্রদীপ প্রজ্বালন, দেউলী পূজা, আলোচনা সভা এবং হাজং সম্প্রদায়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা, কবি দোলন হাজং-এর সঞ্চালনায় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক কবি পরাগ রিছিল-এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এ জিন্নাহ, শিক্ষানুরাগী ও সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, জাতীয় হাজং সংগঠনের সভাপতি পল্টন হাজং, হাজং নারীনেত্রী সন্ধ্যা রানী হাজং, এবং শ্যামনগর হাজং গ্রাম প্রতিনিধি সজল হাজংসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজং নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

বক্তব্যে অতিথিদের মন্তব্য, মাহবুব মোর্শেদ বলেন, “হাজংরা উৎসবপ্রিয় জাতি। তাদের বহু ঐতিহ্যবাহী উৎসব আজ বিলুপ্তির পথে। ধর্মীয় ও কৃষিভিত্তিক উৎসবগুলোর মধ্যে দেউলী পৌষ উৎসব অন্যতম বর্ণিল আয়োজন। এই জীবনঘনিষ্ঠ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।”

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “হাজং সম্প্রদায় ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যেন নিজেদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আরও যত্নশীল হয়, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশে দেশব্যাপী কালচারাল একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপি সবসময়ই এই ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করে যাবে।”

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, আলোচনা শেষে হাজং শিল্পীরা নৃত্য, গান এবং ঐতিহ্যবাহী ‘মহিষাসুরবধ’ পালা পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। 

Advertisement

Link copied!