জুলাই অভ্যুত্থান বিরোধীদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি চায় ইবির জিয়া পরিষদ

ওয়াসিফ আল আবরার , ইবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ৩০ শিক্ষক কর্মকর্তার চূড়ান্ত শাস্তি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জিয়া পরিষদ ইবি শাখার সাধারণ সভায় প্রশাসনের চলমান জুলাই বিপ্লব-বিরোধী ভূমিকা গ্রহণকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিচারের কার্যক্রমের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে নিজেদের অবস্থান জানান শিক্ষক নেতারা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আলিনুর রহমান, অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ইবি ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মতিনূর রহমান, অধ্যাপক ড. নজিবুল হক, আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. নূরুন নাহার, জিয়া পরিষদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন, শাহ আজিজুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ টি এম মিজানুর রহমান, আয়েশা সিদ্দিকা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জুলাই বিরোধী শিক্ষক কর্মকর্তাদের অপরাধীদের তালিকা পুনর্মূল্যায়ন করার আহ্বান জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সভায় এ বিষয়েও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় শিক্ষকরা বলেন, চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান স্বৈরাচার পতনের ইতিহাসের একটি মাইলফলক। যেভাবে একের পর এক আমাদের ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে, তা বিশ্ববিবেককে কাঁদিয়েছে। আন্দোলন চলাকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে যারা বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়েছে, তাদের অবশ্যই নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ইবি প্রশাসনের পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই, প্রশাসনকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ও জ্ঞানচর্চার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য এদের বিচার জরুরি। তবে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন অন্যায়ের শিকার না হয়, সেজন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে।

Link copied!