গাজীপুরে একটি ভাড়া বাসা থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই কক্ষে স্বামী এমরান হোসেনকেও গলাকাটা অবস্থায় গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
শনিবার সকালে মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার ওই বাসা থেকে রহিমা খাতুনের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত এমরান হোসেনের (৪০) বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্য মতে, এমরান-রহিমা দম্পতি তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিনকে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে রাতে এমরান প্রথমে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী রহিমাকে গলাকেটে হত্যা করেন। এরপর একই দা দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি তাদের মেয়ে শারমিন দেখেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাউদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানোর সময় আহত এমরানের পালস পাওয়া যায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রহিমার মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মতামত লিখুন :