২৪ বছর পুরনো হত্যার রহস্য সমাধান, ডিমের খাঁচা মূল সূত্র

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

কর্ণাটকের কোনানাকাল্লু রিজার্ভ ফরেস্টে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে টহলরত এক বনরক্ষী অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানায়। প্রাথমিক তদন্তে একটি পাসবুক এবং ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা ফোন নম্বর থেকে ধারণা করা হয়, নিহত ব্যক্তি শিবামোগ্গার একজন ব্যবসায়ী।

দীর্ঘদিন মামলাটি অমীমাংসিত থাকার প্রধান কারণ ছিল ডিজিটাল তথ্যের অভাব ও অপরাধীদের ব্যবহৃত এসটিডি বুথ ও ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরশীলতা।

কিন্তু ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা মামলাটিকে সমাধান করতে সক্ষম হন।

ছয়টি জেলায় পুরনো ফাইল পর্যালোচনা ও বহুসংখ্যক ফোন-বুথ কল পুনরায় ট্র্যাক করার পর তদন্তে জানা যায়, নিহত ব্যক্তি একজন লেখক এবং তার ড্রাইভারকে ১০ লক্ষ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে শুধুমাত্র ড্রাইভারই বেঁচে যান। লেখককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এবং অর্থ ছিনতাই করার পর তার লাশ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।

গোয়েন্দারা কল ডিটেইল রেকর্ড, বেঙ্গালুরুর পাড়ায় সন্দেহজনক কার্যকলাপ এবং স্থানীয় একটি দোকান থেকে কেনা দুটি ডিমের খাঁচা ব্যবহার করে একজন সন্দেহভাজনের নতুন বাসস্থানের সূত্র পান।

শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি এবং তার দুই সহযোগী হত্যাকাণ্ডের পূর্বপরিকল্পিত হত্যার কথা স্বীকার করেন।

২০০৫ সালে আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী কোনো এক মামলায় অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে একজন আসামি ২০১৪ সালে পুনরায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কিছু সময়ের জন্য পলাতক ছিলেন।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই মামলা প্রমাণ করে পুরনো ধাঁচের গোয়েন্দা কাজও কতটা কার্যকর হতে পারে।

মামলায় যুক্ত এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এটি খুব চ্যালেঞ্জিং মামলা ছিল।’

Link copied!