গাজীপুর-৫ এ নীরব বিপ্লব: দাঁড়িপাল্লায় জনস্রোত

আখতার হোসেন , বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম

গাজীপুর-৫; পুবাইল-কালীগঞ্জ এখন দেশের নির্বাচনী মানচিত্রে এক অনন্য উত্তাপের কেন্দ্র—নীরব ভোটের ঢেউ শক্তভাবে ভিত্তি গেড়েছে দাঁড়িপাল্লার ওপর। জুলাই-বিপ্লবোত্তর নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় ১৭ বছর পর বদলে যাওয়া জনমত এবার জমাট আশার ইঙ্গিত দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ খায়রুল হাসানকে ঘিরে।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখানো সমর্থনের তিনগুণ উত্থান মাঠের ভোটযুদ্ধে আরও স্পষ্ট। পুবাইল কলেজ মাঠের সু-ডাউন সমাবেশে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ঢল ও রোববারের টানা গণসংযোগ—পুরো পুবাইল-কালীগঞ্জকে পরিণত করেছে এক নির্বাচনী উৎসবে। যুবকদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট থেকে মসজিদভিত্তিক মতবিনিময়, নারী সমাবেশ থেকে ওলামা পরিষদের জমজমাট অনুষ্ঠান—প্রতিটি স্থানে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে উচ্ছ্বাস যেন নিঃশব্দ এক বিপ্লবের আভাস।

বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের স্রোত এবার স্পষ্ট। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের একচ্ছত্র বিজয়ের পর তরুণদের ‘পরিবর্তনের রাজনীতি’ নতুন গতিতে দাঁড়িপাল্লায় জমেছে। তাদের স্লোগান—"সব দল দেখা শেষ, এবার সৎ নেতৃত্বের বাংলাদেশ।

নারী ভোটেও জোয়ার আরও শক্তিশালী। উঠান বৈঠক, সামাজিক সেবা, বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প—সব মিলিয়ে নারীরা বলছেন, “এবার ইনসাফের নেতৃত্ব চাই”। খায়রুল হাসান দৃঢ় কণ্ঠে বলছেন—সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই গাজীপুর-৫ এ নীরব বিপ্লব ঘটবে। কারণ জনগণ পরিবর্তন চায়—অন্যায়-দুর্নীতিমুক্ত চাঁদাবাজমুক্ত রাষ্ট্র চায়। পুবাইল ও কালীগঞ্জের সাধারণ মানুষের মুখে এখন একটাই কথা—“প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লায়—এই ভোটই বদলে দেবে বাংলাদেশ। গাজীপুর-৫ এখন শুধু নির্বাচনী এলাকা নয়—পরিবর্তনের প্রতীক, নীরব বিপ্লবের উন্মুখ মঞ্চ। দিন দিন বাড়তে থাকা মানুষের ঢল বলছে, এবার ইতিহাস নতুন করে লেখার অপেক্ষা মাত্র।

Advertisement

Link copied!