মো.হুমায়ুন কবির গৌরীপুর :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ঘোষখালী খালের ওপর নির্মিত ব্রীজটি চলাচলের জন্য মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পায়ে হেঁটে পার হতে গেলেও কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহনেও যাত্রী নামিয়ে পার হতে হয়। একেবারেই চলতে পারছে না ভারি কোনো যানবাহন।
ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই জেলার কয়েক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে একটি স্লাভ ও দুটি গার্ডারে ফাটল ধরে। ভারী যানবাহন উঠলেই সেতু থর থর করে কাঁপতে থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও দেওয়া হয়নি বিপদজ্জনক সাইনবোর্ড। ব্যস্ততম সড়কে ঘোষখালী খালের উপর এমন জীর্ণ ব্রীজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে সেতুর ফলক দেখে জানা যায় মাওহা ইউনিয়নের দ্বিতীয় গ্রামীন সড়কও বাজার উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পে ভূটিয়ারকোনা রামকৃষ্ণপুর রাস্তায় এলজিইডি’র তত্বাবধানে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ণে ৩.৩০ মিটার পূরণ ২.৬০ মিটার মিটার (২৭,৫০০০) সাতাশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয়ে আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করেন গৌরীপুরের মেসার্স পাঠান এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাধারী প্রতিষ্টান।উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সমাপ্তি করেন ২০০০ সালের এপ্রিল মাসের ৫ তারিখে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন এই ব্রীজ দিয়ে নেত্রকোনা সদর ও পার্শ্ববর্তী কেন্দুয়া উপজেলারসহ গৌরীপুর উপজেরার প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন ও যানবাহন যাতায়াত করে। কিন্তু ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ন থাকায় ভারী যানবাহন নিয়ে ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। সাংবাদিকদের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা দ্রুত ব্রীজ নির্মান,সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
কথা বললে গৌরীপুর উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক জানিয়েছেন উক্ত ব্রীজের নির্মানের জন্য নতুন করে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।