রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা নামক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষের পানিতে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের প্রায় ১৮ হাজার মানুষ ।
নোনা পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মৎস্য ঘের, ফসলি জমি। বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছেন প্লাবিত এলাকার মানুষ । বন্যায় প্লাবিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সাইক্লোন শেল্টার ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে । রিংবাঁধ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় প্রতিদিনই নুতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
চরামুখা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ভেঙে যাওয়া এই স্থানটি অনেক আগে থেকেই হুমকিতে ছিল গত জুন মাসের ১৭ তারিখে উক্ত স্থান ভেঙে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়, গ্রামবাসীর দুই দিনের প্রচেষ্টায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় দীর্ঘ দুই মাসেও স্পর্শকাতর রিংবাঁধটি মেরামত না করায়
১৩ আগস্ট দুপুরের জোয়ারে রিংবাঁধটি ভেঙে প্লাবিত হয়।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছের আলী বলেন,ইউনিয়নের দশটি গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির অভাব দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছি, আশা করি আগামীকাল বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে চাল, ডাল, তেল, চিড়া শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।