মো. হুমায়ুন কবির,গৌরীপুর:
এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মোঃ রাফিজুল ইসলাম। এই পরোয়ানা জারি করেন।
জানা গেছে ময়মনসিংহে পিবিআই’র প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সাদ্দাম হোসেন (২৫) নামে এই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারেন আদেশ দেন।
সে গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মৃত আমীর আলীর ছেলে। ২০১৫ সালে তিনি পুলিশ সদস্য হিসেবে চাকরীতে যোগ দেন। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদর উদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ভুক্তভোগী তরুণীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পিবিআইকে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৩ জুন আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ প্রদান করেছেন।
সুত্র জানায়, ভুক্তভোগী তরুণী (২১) একই উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন ওই তরুণীকে প্রেমের ছলে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ মে সাদ্দাম হোসেন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ জুলাই ওই তুরুণীকে আবারও ধর্ষণ করেন সাদ্দাম হোসেন।
পরে ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে সাদ্দাম হোসেন তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি ওই তরুণী সাদ্দাম হোসেনের পরিবারকে জানায়। তবে, কোন সুরাহা না হওয়ায় আদালতে মামলা করেন ওই তরুণী।