মানবদেহের জন্য অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদান হচ্ছে আমিষ জাতীয় খাবার মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি এইগুলো হলো প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবার। এদের মধ্যে মাংস হচ্ছে একটি অন্যতম আমিষ জাতীয় খাবার। এদের মধ্যে গবাদিপশুর মাংসের চাহিদা রয়েছে যতেষ্ট পরিমাণে হবিগঞ্জের মাধবপুরে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রোগ বালাই নির্ণয় করা ছাড়াই কসাইখানায় হরদম চলছে পশু জবাই।মাধবপুর পৌরসভা বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসকের ছাড়পত্র ছাড়াই গবাদিপশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু জবাই করার ব্যাপারে আইন থাকলেও তদারকির দায়িত্ব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় ও পৌরসভার হলেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। ফলে অসাধু মাংস কারবারিরা কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে রুগ্ন গরু-ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করে চলেছে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন ক্রেতারা জানাগেছে প্রতিদিন ভোর হওয়ার আগেই লোকচক্ষুর আড়ালে পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই মাধবপুর পৌর সদর বাজারসহ উপজেলার অন্যান্য হাট-বাজারে গরু-ছাগল সহ বিভিন্ন গবাদি পশু জবাই করা হয়।
কিন্তু জবাই করা এসব পশুর শরীরে কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণা নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের। নিয়ম অনুযায়ী, পশু জবাই করার পূর্বে পশু চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন। স্থানীয়রা মনে করছেন সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের রোগ নির্ণয়ে কোনো ধরনের তদারকি না থাকার ফলে সাধারণ ক্রেতারা ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।মাধবপুর বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা
নাহিদ মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, গরু মাংস কিনলাম কিন্তু গরু টি অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমি তা জানি না। পরীক্ষা-নিরিক্ষা ছাড়া পশু জবাই করা হলে রোগাক্রান্ত নাকি ভালো তা বোঝার কোনো উপায় নেই মতি মিয়া নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেন গরু জবাই এর পূর্বে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে গরু পরিক্ষা করা হয়না। সামনে আসলে বলে পরীক্ষা করানোর জন্য, আমাদের ও ইচ্ছা আছে পশু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা করানোর কিন্তু উনারা পশুর শরীরে কোন সিল দিতে পারে না।
মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সাত্তার বেগ জানান, যারা পশু জবাই ও মাংস বিক্রি করে তাদের একটা লাইসেন্স লাগে আমরা তাদের বলে দিয়েছি লাইসেন্স টি করানোর জন্য। এরপর তারা নিবন্ধনের আওতায় আসলে আমরা পশু জবাইয়ের আগে পরীক্ষা করে নিব যেহেতু তারা নিবন্ধনের আওতায় আসেনি সে জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। এখন যেহেতু আইন,ও বিধি সবই আছে, নিবন্ধনের ফি নির্ধারন হলেই খুব শীগ্রই তাদের কে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।