শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
বর্তমান সরকার দেশের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো মায়েদের সিজারের পরিবর্তে নরমাল ডেলিভারিকে প্রধান্য দিচ্ছে। সারা দেশে নরমাল ডেলিভারিতে জোড় দেওয়ার কারনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে গর্ভবতী নারীদের নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা। তেমনই গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল (সদর) হাসপাতালে রেকর্ড সংখ্যক নরমাল ডেলিভারি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স ও দক্ষ চিকিৎসকের প্রচেষ্টায় অক্টোবর মাসে ১১১ টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মারিয়া পারভীন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
করোনার পরবর্তীতে এখন আবার হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারি বাড়ছে। দক্ষ নার্স ও গাইনী চিকিৎসকদের দায়িত্বশীলতা ও কর্তব্যপরায়ণতার কারনে তিনবছর পরে আবার হাসপাতালে গত অক্টোবর মাসে ১১১ টি নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। যা ছিল নজিরবিহীন। গতমাসে ১১১ টি নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি গাইনী চিকিৎসকরা ৮৭টি সিজার করেছেন।
এই বিষয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বিডি২৪ লাইভকে বলেন, সরকার প্রসূতিদের চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক ও নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আমাদের হাসপাতালে গাইনী বিভাগের নার্স ও চিকিৎসকরা যথেষ্ট ভাল করে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারি ২০% নিচে নিয়ে আসতে হবে। প্রসূতি মায়ের চিন্তা করে, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় নরমাল ডেলিভারি করাতে হবে।
নরমাল ডেলিভারির জন্য রোগীদের কাউন্সেলিং করার বিষয়টি বেশি কাজ করেছে। হাসপাতালের ১১৫ নম্বর কক্ষে প্রসূতিদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। ওই কক্ষের মোবাইল নম্বর রোগীদের দিয়ে রাখা আছে। তাছাড়া প্রসূতিদের নম্বরও আমরা রাখছি। প্রসূতি রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে আসার জন্য অনুরোধ করেন।