সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
মোবারক হোসেন রুবেল, ধর্মপাশা : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বীর সিংহ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ আকাশের (২৭) নেতৃত্বে উপজেলার আটলার বিল ও দাইড় জলমহালটির দুইজন পাহারাদারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গত বুধবার (৭আগস্ট) রাতে ওই জলমহালটি থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্থানীয় জেলেদের দিয়ে জলমহালটির মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে জলমহালটি ইজারা পাওয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন ও ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটলার বিল ও দাইড় জলমহালটি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন।এটির আয়তন ২১একর । বাৎসরিক দুই লাখ ৮৯ হাজার ৮৯২ টাকা ইজারামুল্যে পরিশোধ সাপেক্ষে এই জলমহালটি ১৪২৬থেকে ১৪৩১বঙ্গাব্দ পর্যন্ত এটি ইজারা পায় স্থানীয় দক্ষিণউড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। সমিতির পক্ষ থেকে যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধ করে এটিতে দল, বাঁশ, কাটা স্থাপন করে সমিতির সদস্যরা এই জলমহালটি রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় ওই জলমহালটিতে কৃপেষ পুরকায়স্থ ও রূপন বিশ্বাস নামের দুইজন পাহারাদার নিয়োজিত ছিলেন। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা যুবদল নেতা শামীম আহমেদ আকাশের নেতৃত্বে ৭-৮জন লোক নিয়ে তিনি জলমহালটিতে প্রবেশ করে পাহারাদারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেন। জলমহালে থাকা পাহাদারদের ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকাটি তাঁরা ছিনিয়ে নেন। পরে রাত আটটার দিকে ওই যুবলীগ নেতার নির্দেশে ২৫থেকে ৩০জন জেলে জলমহালটিতে জাল ফেলে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার শুরু করেন।
এই মাছ শিকার কার্যক্রম চলে বৃহস্পতিবার ভোর রাত পর্যন্ত। মধ্যনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ আকাশ বলেন, ওই জলমহালটির মাছ লুটপাট, পাহারাদারদের ভয়ভীতি দেখানো ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে জড়িয়ে অযথা মিথ্যা বদনাম রটানো হচ্ছে। উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণউড়া গ্রামের বাসিন্দা ও দক্ষিণউড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস (৩৪) বলেন,আমি সংখ্যালঘু পরিবারের হওয়ায় এবং দেশে আইনের কোনো শাসনব্যবস্থা না থাকায় উপজেলা যুবদল নেতা শামীম আহমেদ আকাশ এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
থানার ওসি স্যারকে এ ঘটনা জানাতে কল করলেও তিনি কল না ধরায় সেনাবাহিনীর সহায়তা পাওয়ার নম্বরে কল করে ঘটনাটি জানিয়েছি। এতে আমার সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, আমাদের থানার পুলিশ কেহই বাহিরে যাচ্ছে না। এখনো পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়নি। এ ধরণের ঘটনার কোনো খবর আমি জানিনা।