শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে মর্টারশেল। এতে সীমান্তের নিকটবর্তী বাংলাদেশি বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকা থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টারশেল ছোড়ার বিকট শব্দ শোনা যায়। এর আগে মঙ্গলবারও মর্টারশেল ছোড়ার শব্দ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহিবুল্লাহ বলেন, প্রায় এক মাস ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু সীমান্ত এলাকার অপরদিক মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এর মধ্যে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত দুটি মর্টারশেল ঘুমধুম ইউপির তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় পড়ে। সেগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এরপর আবার ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় পতিত হয়।
তিনি আরও বলেন, মাঝের দুইদিন গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ফের ওই এলাকায় মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
ঘুমধুম ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, যে এলাকায় গোলাগুলি হচ্ছে সেটা আমাদের এলাকা থেকে প্রায় ৫-৭ কিমি দূরে। তবে দুইদিন গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও মঙ্গলবার থেকে সীমান্তের ওপার থেকে খুবই গোলাগুলির শব্দ আসছে। এতে স্থানীয়রা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারতে বাইরে যেতেও দ্বিধা বোধ করছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, দুইদিন গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও গতকাল থেকে মর্টারশেল ছোড়ার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছে। তবে এই দুদিনে দেশের অভ্যন্তরে কোনো গোলা এসে পাড়ার ঘটনা ঘটেনি।
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা (আইসি) সোহাগ রানা জাগো নিউজকে বলেন, সীমান্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে বিজিবি। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার এখতিয়ারও আমাদের নেই। তবে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।