মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন
ফয়সাল হাওলাদার : চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি নজরুল মল্লিক। আদি কাল ছিলো বেশ ভয়ানক। জীবননগর উপজেলা ব্যাপি টুকাই নজরুল নামে বেশ পরিচিত। ঝিনাইদহের সাবেক মৃত সংসদ সদস্য আনারুল আজিম আনারের বাল্য বন্ধু নজরুল মল্লিক। তারা প্রথম দিকে একত্রে ফেনসিডিল, বিদেশি মদসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক নিয়ে অবৈধ ব্যবসা শুরু করলেও কয়েক বছরের মধ্যে হয়ে উঠেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। ২০০৯ সালের পরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দপটকে কাজে লাগিয়ে নজরুল মল্লিক অস্ত্র, সোনা চালান, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকারের অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। নজরুল মল্লিক অবৈধ উপায়ে অস্ত্র, সোনা চালান ও ভারতীয় ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা মালিক হয়েছেন। তার এই অবৈধ সম্পদ স্থানীয় ভ্যাট ট্যাক্স অফিসারকে কালো টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে অর্ধেক অর্থ সম্পদ বৈধ করেছেন জানাগেছে।
নজরুল মল্লিক নিজেকে সুকৌশলে রক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন এমপির কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন। তবে নজরুল মল্লিক এসব ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এগুলো মিথ্যা, বানোয়ার ভিত্তিহীন। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার সেলুনের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পদ। ক্রসফায়ার থেকে নিজেকে বাঁচাতে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির পদবী ব্যবহার করে রাতারাতি সেজেছিলেন জনগনের সেবক। রাজনৈতিক পদ পাওয়ার কয়েকদিনের ভিতরে চুয়াডাঙ্গা -২ আসনে এমপি পদ প্রার্থী হিসেবে নিজেকে জানান দেন এবং সেটেছিলেন চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের প্রতিটি জায়গায় ব্যানার ফেসটুন ব্যাপক প্রচারণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি স্মাগলার নজরুল মল্লিক এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারিদের সাথে নিয়ে গত নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াতেন। যা দেখে চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের অর্জিনাল দল প্রেমি ব্যক্তিদের চোখ কপালে পরেছিলো এক প্রকারের কালো ছাপ,চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের এলাকা গুলোতে তাকে নিয়ে চলেছিলো সমালোচনার ঝড়, সকলের মূখে একটাই কথা অবশেষে একজন চোরাকারবারি স্মাগলার নজরুল মল্লিক এই আসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পদ প্রার্থী হিসেবে মাঠ ঘুরছেন।
নজরুল মল্লিকের ঘনিষ্ঠ এক ড্রাইভারের মাধ্যমে আরো জানা যায় তিনি ঢাকা থেকে নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার সময় অস্ত্র ও সোনার চালান নিয়ে যেতেন, এবং ফিরতি পথে তার গাড়িতে করে অবৈধ নিষিদ্ধ ফেনসিডিল, মদ,সহ অন্যান্য মাদক দ্রব্যর চোরাচালান নিয়ে ঢাকা আসতেন।
তার এই মাদক সোনা ও অস্ত্রের চালান ভারত-ঢাকা পৌঁছিয়ে দিতে সহযোগিতা করতেন জীবননগর কালা গ্রামের খাজা, জীবননগর পৌর সভার এক কাউন্সিলর সহ জীবননগরের চিহ্নিত কয়েকজন মাদক চোরাকারবারী।