শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন

ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ

ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ

নিউজ ডেস্ক: আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যার ১৪ বছর আজ। ২০১১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় এই কিশোরী। দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তার লাশ।

নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলোনীটারী গ্রামের দরিদ্র নূরুল ইসলাম পেটের তাগিদে আর ১০ জনের মতো পাড়ি জমান ভারতে। পরিবার নিয়ে থাকতেন দেশটির বঙ্গাইগাঁও এলাকায়। নূরুল ইসলামের বড় মেয়ে ফেলানীর বিয়ে ঠিক হয় বাংলাদেশে। বিয়ের উদ্দেশে কাঁটাতার টপকে নিজ দেশে আসতে হবে তাদের। ৭ জানুয়ারি ভোর ছয়টা। ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে মই বেয়ে কাঁটাতার টপকায় ফেলানীর বাবা। পরে কাঁটাতার টপকানোর চেষ্টা করে ফেলানী। এ সময় বিএসএফের গুলিতে বিদ্ধ হয় এই কিশোরী।

সীমান্তের কাঁটাতারে আটকে থাকা ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বর্বরতা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফেলানী হয়ে উঠে প্রতিবাদের প্রতীক। বিশ্ব মিডিয়ায় ফেলানী খাতুনের মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকার ঝুলন্ত ছবি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় ভারত হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলেও প্রহসনের বিচার করা হয়।

ফেলানী হত্যার পর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন বিএসএফকে একটি ‘খুনি বাহিনী’ হিসেবে অভিহিত করে। বিশ্বজুড়ে প্রচার হয় প্রতিষ্ঠিত বিএসএফ একটি বর্বর বাহিনী। এই বাহিনী এর আগেও বহু নারী ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে একের পর এক সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলেও টুঁ শব্দটি করেনি শেখ হাসিনা সরকার। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সীমান্ত হত্যা নিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কড়া সমালোচনা করলেও হত্যা বন্ধ হয়নি। ৫ আগস্টের পরও বিএসএফের হাতে সীমান্তে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |