সভ্যতার দেশ গ্রিসে কয়েক দশক ধরে গ্রিসের কৃষি উন্নয়নের অবদান রেখে আসছে বাংলাদেশ রেমিটেন্স যোদ্ধারা। নেয়া মানালোদা কৃষি জমিতে স্ট্রবেরি সহ বিভিন্ন ফসলাদির কাজ করে আসছে বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিকরা। এই কাজ করতে গিয়ে ঝরিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসীদের শ্রমিকের রক্ত। ২০১৩ শ্রমিকদের মজুরি চাইতে গেলে মালিকদের সাথে বিপত্তি এবং গুলি চালায় অসহায় শ্রমিকদের উপর। এতে ৩২ জন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন।
সাধারণত নিজেদের তৈরি করা তাবুর ঘরে বসবাস করেন।গত মঙ্গলবার প্রতিদিনের মতোই কাজে গিয়েছিল বাংলাদেশি শ্রমিকরা খবর আসে তাদের সারাদিন কষ্ট করার পরে একটু শান্তিতে ঘুমানোর ঘরটি পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। উক্ত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় গ্যাস সিলিন্ডার বিশফোরনে। এই পর্যন্ত নেয়ামানেলদা, ইলিয়া, লাপ্পা অঞ্চলে বাংলাদেশিরা বেশি বসবাস এবং কাজ করেন বিগত কয়েক দশক ধরে। প্রতিবছরই এক দুই জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে ভষ্পিত হয় শতাধিক রাত্রিযাপনের ঘর। সেই সাথে শ্রমিকদের স্বপ্ন পুড়ে যায় ছাই হয়ে যায়। পাসপোর্ট, রেসিডেন্সিয়াল পারমিট, নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় মালামাল। এর মধ্যে থাকা দেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল কয়েকজন প্রবাসীরা। যারা কিনা বেশ কয়েক বছর দেশে যেতে পারেনি তারাও এখন নিঃস্ব।
আগুনের খবর পেয়ে ছুটেযান গ্রীসে অবস্থিত দূতাবাসের কর্মকর্তারা তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুততার সহিত তাদের পাসপোর্ট এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে তাদের কাগজপত্র করে দেবার ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গ্রীসের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব এবং এনজিও সংস্থা, গ্রিক রাজণৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ ও প্রশাসন।
অনেকেই বলছেন ফিরে পাওয়া যাবেনা আর নগদ অর্থসহ প্রয়োজনের জনিসপত্র তবে তাদের একটি দাবি ফিরিয়ে দেয়া হোক পাসপোর্ট এবং কাগজপত্র।
সকাল হবে ,কাজে যাবে সবাই ,তবে আবাসিক সমস্যার জন্য রাত কাটানো হয়ে উঠবে তাদের জন্য দুর্বৃষ্য। থাকতে হবে খোলা আকাশের নিচে।
আপনার মতামত লিখুন :