সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিচার গুরুত্বপূর্ণ

অনলাইন ডেস্ক , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৪৩ এএম

বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় অপরাধের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচার জরুরি বলে মনে করে বিএনপি। দলটি বলছে, ন্যায়বিচার শুধু অতীতের অন্যায়ের শাস্তি দেয় না—এটি ভবিষ্যতে এমন অপরাধ ঠেকাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখে। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাই হতে পারে একটি শান্তিপূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের ভিত্তি।

শনিবার রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো দেশের চলার পথ হওয়া উচিত ‘ল অব দ্য ল্যান্ড’ বা আইনের শাসন অনুযায়ী। কিছু ব্যক্তির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় পুরো প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপানো উচিত নয়। একইভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের সুনামও ব্যক্তিগত অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া অনুচিত। একজনের অপরাধের দায় ও তার শাস্তি একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়।

বিএনপি উল্লেখ করেছে, ফ্যাসিবাদের সময়কাল জুড়ে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া দল হিসেবে তারা সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের পক্ষে। এখানে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় নয়—বিবেচ্য হওয়া উচিত ব্যক্তির অপরাধ ও আইনের শাসন। কোনো ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন অপরাধের দায়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মর্যাদা ও জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করা উচিত নয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই দেশের গর্বিত সন্তান। অধিকাংশ সেনা সদস্য নিজেরাও চান, যারা সীমা লঙ্ঘন করেছে তারা যেন বিচারের মুখোমুখি হয়—যাতে ভবিষ্যতে কোনো সরকার আর কখনো সেনাবাহিনীর কাছে গুম-খুনের মতো অন্যায় নির্দেশ দিতে না পারে। বিএনপি এই ন্যায্য প্রত্যাশার সঙ্গে শতভাগ একমত বলে জানায়।

Link copied!