জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন সাইবার সিকিউরিটি মামলায় ১৫ মাস জেল খাটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
সাংবাদিকের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খাদিজা বলেন, আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনস্থির করেছি। তবে কোন পোস্টে এবং কোন প্যানেলে দাঁড়াবো, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। খুব শিগগির আমি জানাবো।
ছাত্রদলের প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে ছাত্রদল যদি এক্সক্লুসিভ প্যানেল দেয় এবং তাদের ইশতেহারের সঙ্গে আমাদের ইশতেহারের মিল থাকে, তারা যদি দলীয়করণ না করে লিবারেল থাকে, তাহলে আমি তাদের প্যানেল থেকে নির্বাচন করতে রাজি আছি ইনশাআল্লাহ।
নিজের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ক্যাম্পাস যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করবো। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সমাধানে কাজ করবো। ক্যান্টিন এবং ছাত্রী হলে খাবারের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যেন হেনস্তার শিকার না হন, সেই লক্ষ্যেও কাজ করবো আমি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিউশন করাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন, তাই তারা যেন টিউশন না করে আউটসোর্সিং করে নিজের খরচ চালাতে পারেন, সে জন্য কাজ করবো। প্রাইভেট হাসপাতালে যেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন, সেজন্য কাজ করবো। আলরেডি এটা নিয়ে আমি কাজ শুরু করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় কীভাবে ভালো করতে পারেন, সে লক্ষ্যে কাউন্সেলিং করবো। বিশেষ করে আমার মতো যেন কোনো শিক্ষার্থী বিনা বিচারে জেল না খাটেন, সেজন্য কাজ করবো। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবো।
খাদিজাতুল কুবরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
২০২০ সালের অক্টোবরে অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে খাদিজাতুল কুবরা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় প্রায় ১৫ মাস বিনা বিচারে জেল খাটেন এই জবি শিক্ষার্থী।
আপনার মতামত লিখুন :