লিভারপুলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। শনিবার ক্লাবের আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে মিসরের এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, তার মনে হচ্ছে তাকে যেন ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্র ম্যাচে সালাহকে একবারও মাঠে নামানো হয়নি; পুরোটা সময় তিনি বেঞ্চেই ছিলেন। এর ফলে টানা তিন ম্যাচে শুরুর একাদশের বাইরে থাকলেন লিভারপুলের অন্যতম সেরা এই তারকা। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সালাহ।
হতাশ সালাহ বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি খুবই হতাশ। এই ক্লাবের জন্য বছরের পর বছর অনেক কিছু করেছি, বিশেষ করে গত মৌসুমে। অথচ এখন আমাকে বেঞ্চে বসে থাকতে হচ্ছে, এবং কেন—সেটা আমি জানিও না।’
তার দাবি, ক্লাব তার প্রতি যে আচরণ করছে তা অন্যায্য। সালাহর ভাষায়, ‘মনে হচ্ছে ক্লাব যেন আমাকে বলির পাঁঠা বানিয়ে দিয়েছে। বিষয়টা স্পষ্ট—কেউ একজন চাইছে সব দোষ যেন আমার ওপরই চাপানো হয়।’
অ্যানফিল্ডে গত আট বছরে সালাহ লিভারপুলকে এনে দিয়েছেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি ক্লাবের সঙ্গে নতুন দুই বছরের চুক্তি নবায়ন করেছেন। এর ঠিক আগেই জিতেছিলেন প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
তবু সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর অ্যানফিল্ডে সালাহর ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে মৌসুমের শুরুটা বাজে কাটছে—শেষ ১০ ম্যাচে কেবল দুটিতে জিতেছে লিভারপুল, যা শিরোপা ধরে রাখার পথে বড় ধাক্কা। এর মধ্যে সালাহর অসন্তোষ দলকে আরও সংকটে ফেলেছে।
লিডসের বিপক্ষে ড্রয়ের পর কোচ আর্নি স্লট অবশ্য টানা তৃতীয়বারের মতো সালাহকে একাদশের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে আছি, তা মেনে নিতে হবে। সেই পরিস্থিতির ভিত্তিতেই আমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী সালাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, স্লটের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে গেছে। ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মে আমাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত টানা তিন ম্যাচ আমি বেঞ্চে। তাই বলতে পারছি না তারা কথা রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জানি না কেন, তবে যেভাবে বিষয়গুলো দেখছি, মনে হচ্ছে কেউ একজন চান না আমি আর এই ক্লাবে থাকি।’
চলতি মাসেই সালাহ জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন আফ্রিকান কাপ অব নেশনস খেলতে। সেখান থেকে ফেরার পর লিভারপুলে তার ভবিষ্যৎ কী হবে—এ নিয়েও তিনি অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :