শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ অপরাহ্ন
উপাচার্য আরো বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাকৃবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের কোন স্থান নেই। মাদকের বিরুদ্ধে বাকৃবি প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।’ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে ছিলেন পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব মো. আজিজুল ইসলাম।
মাদকাসক্তির কারণ, মাদকাসক্তির সামাজিক কুফল-প্রভাব, মাদক সেবনের শাস্তি, প্রতিরোধের উপায় ও উত্তরণের নানান দিক আলোচনা করে বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ও স্লাইড প্রদর্শন করেন ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৫ম। কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে মাদকে আসক্তের পরিমাণ অত্যধিক, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩০ এর মাঝে (গড় বয়স ২২)। তাই আমরা এসেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তাই এই ভয়ঙ্কর মাদকের বিরুদ্ধে দরকার সামাজিক আন্দোলন।’
এসময় উপস্থিত সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান ডিআইজি।
পুলিশ সুপার জনাব মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, মাদক সেবনকারী, মাদক চালানকারী, মাদক উৎপাদনকারী, মাদক ব্যবসায়ী ও ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট মাদক গ্রহণকারীদের শক্ত হাতে দমনের জোর দাবি জানান।