শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ডিআইজি-জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কারারক্ষী!

ডিআইজি-জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কারারক্ষী!

ডিআইজি-জেল সুপার ও জেলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কারারক্ষী!

রাজিব আলী,রাজশাহী: রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দূর্নীতি থামছে না। টাকার বিনিময়ে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাত এবং অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ডিআইজি প্রিজন্স,সাবেক জেল সুপার,জেলার এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন কারাগারের ভেতরে গরুর খামার, দেখাশোনা করছেন কারাগারের বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি দফতরের ব্যারাকে বিক্রির উদ্দেশে এভাবে পশু পালন এবং সেই পশু দেখভালে সরকারের বেতনভুক্ত কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্ন উঠেছে। খামার তৈরি করে গরু পালনের এই ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই খামার পরিচালনা করে আসছেন। খামারে আছে প্রায় ২৫টি গরু। এদেরকে খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে গোসল করানো এবং খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ৮-১০ জন সরকারি কর্মচারী। সূত্রগুলো জানায়, কারাগারের সাবেক জেল সুপার আব্দুল জলিল ও সাবেক জেলার নিজাম উদ্দিন বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাত নামে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ টাকার আদায় করেছেন। দুর্নীতিবাজ ডিআউজি প্রিজন্স মোঃ কামাল হোসেন,সাবেক জেল সুপার আব্দুল জলিল ও জেলার নিজাম উদ্দিন বন্দীদের মধ্যে খাবার বিক্রির নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। এঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মনির হোসেন নামের একজন দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

কারা অভ্যন্তরে মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি করেছেন ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদক। কারা অভ্যন্তরে দুর্র্ধষ বন্দীরা ব্যবহার করছেন মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে বন্দীদের সাথে স্বজনদের কথা বলিয়ে দেয়ার নামেও প্রতিদিন চালিয়েছেন “কথার বাণিজ্য৷ ‘অফিস’ দেখার নামে বিশেষ ব্যবস্থায় সাক্ষাতের নামে বন্দীর স্বজনদের কাছে বিক্রি হচ্ছে স্লিপ। একজন বন্দীর সাথে অফিস দেখার বিনিময়ে স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে সর্বনিম্ন ১ থেকে ৩ হাজার টাকা। তবে স্লিপের কোথাও লেখা থাকে না টাকার অঙ্ক।

 

 

সরেজমিন কারা ফটকের সামনে অবস্থান করেন এ প্রতিবেদক। সেখানে ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদক দেখতে পান, কারা ফটকের ডান পাশে ছাউনি দেয়া গোলচক্করে দুইজন কারারক্ষী বসে আছেন। বন্দীর সাথে ‘অফিস দেখা’ করতে আসা লোকজনের কাছে তারা টাকার বিনিময়ে স্লিপ দিচ্ছেন। ওই স্লিপ এক কারারক্ষী ফটকের কাছে দায়িত্বরত অন্য কারারক্ষীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। ফটকে দায়িত্বরত সেই কারারক্ষী সেসব স্লিপগুলো পৌঁছে দিচ্ছেন কারা অভ্যন্তরে। স্লিপগুলোয় জেলার বা ডেপুটি জেলার সই করার পরে সংশ্লিষ্ট বন্দীর সাথে স্বজনকে ‘অফিস দেখা’ করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। কারা বিধি অনুযায়ী, বন্দীদের সাথে সাক্ষাত বা “দেখার ঘর” সাক্ষাত করানোর নামে স্বজনেরা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সরেজমিন অবস্থান করে দেখা গেছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা ফটকের ছাউনিতে বন্দীর সাক্ষাতপ্রার্থী শত শত নারী-পুরুষ অপেক্ষা করছেন। কারা ক্যান্টিনের (বাইরের) সামনে দুইজন কারারক্ষী বন্দীর সাক্ষাতপ্রার্থী স্বজনদের স্লিপ দিচ্ছেন। স্লিপ পেলেও অনেক স্বজন ‘দেখার ঘরে’ গিয়ে বন্দীর সাক্ষাত পাচ্ছেন না। কারারক্ষীর সামনে অপরিচিত কেউ দাঁড়ালে তাকে ডেকে ‘আসামি’ আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। বিশেষ স্লিপে ‘অফিস ব্যবস্থায়’ সাক্ষাত করিয়ে দেওয়ার নামেও চলছে রমরমা বাণিজ্য। গতকাল স্বামীকে দেখতে জয়পুরহাট থেকে এসেছেন আরিফা বেগম। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যেন শত্রুরাও না আসে। এখানে টাকা ছাড়া কিছুই হয় না, খাবার মেলে না। আমার স্বামী দুষ্টু লোকের খপ্পড়ে পড়ে মাদকের মামলা খেয়েছেন।

আনিসুর নামের এক যুবক জানান, বিনামূল্যের স্লিপ নামে চালু আছে। ওই স্লিপ নিয়ে গেলে ভেতরে পাহাড়ারত কারারক্ষীরা বন্দীদের ডেকে দিতে চান না। যদি ডেকে দেনও একসঙ্গে অনেক বন্দী থাকায় ভালো করে কথা বলার সুযোগ মেলে না। কারারক্ষীদের ২০০ ও ৩০০ টাকা দিলে বন্দীকে ডেকে দেন তারা৷ দীর্ঘক্ষণ ছাউনিতে ঘোরাফেরা করতে দেখে এ প্রতিবেদকের কাছে এক কারারক্ষী জানতে চান, ভেতরে কেউ আছেন কি না? সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে চা নিয়ে আসতে আরেকজন সহকর্মীকে নির্দেশ দেন তিনি। একপর্যায়ে কারাগারে অনিয়মের বিষয়ে ‘স্যারদের’ সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ জানান তিনি।সুত্র জানায়, “রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ” এই শপথবাক্য বা স্লোগান মানছেন না কারা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কারারক্ষীদের সহায়তায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন কারাবন্দিদের একটা অংশ। বন্দিদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনা দূরের কথা, উল্টো অনিয়ম করে কোনো কোনো কারারক্ষী একই পদে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছেন বছরের পর বছর। অনিয়ম দূর করতে বছর দুয়েক আগে বিভিন্ন অপরাধে এখানকার বেশ কিছু কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হলেও দুর্নীতি থামেনি।

 

কারাগারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলায়ের পক্ষ থেকে গঠিত একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও দুর্নীতি অনিয়মের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন কারাগারে কর্মরত অন্তত ৪০/৪৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নানা অনিয়মে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সূত্রগুলো বলছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির শাস্তি শুধু ‘বদলি’। তবে এ লঘু দণ্ডকে তারা কোনো শাস্তিই মনে করেন না। নতুন কারাগারে বদলি হয়ে তারা ফের একই অপকর্ম শুরু করেন তারা। এজন্য কারাগারে অনিয়ম বাড়ছে বলে মনে করেন সিনিয়র কর্মকর্তারা।

কারাগারে বন্দিদের কঠোর নিরাপত্তা প্রদান, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বন্দিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা, যথাযথভাবে তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশ্চিত করা, সুনাগরিক হিসেবে সমাজে বন্দীরা যাতে পুনর্বাসিত হতে পারেন, সেজন্য যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’ কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা শাখার প্রধান ও অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৩৭টি কারাগারে অনিয়ম-দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। সুত্রটি জানায়, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথমে আসামিদের একটি কক্ষে আনা হয়। কারাগারের ভাষায় এটিকে ‘আমদানি কক্ষ’ বলা হয়। এ কক্ষে আসা আসামিদের বলা হয় ‘গরু’। এখান থেকে তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্রি করা হয়। এসব ওয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন পুরোনো বন্দি, ওয়ার্ড ইনচার্জ ও কারারক্ষীরা। অভিযোগ আছে, কারা হাসপাতালেও চিকিৎসার নামে বন্দী বিক্রি হয় টাকার বিনিময়ে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য মাসে দিতে হয় ১০- ২০ হাজার টাকা। কারারক্ষী মনির হোসেন জানান, আমি রাজশাহী কারাগারের ক্যানটিনের দুর্নীতি,স্যারদের অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করি। তারপর আমাকে বদলি করে দেন। ডিআইজি স্যার দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অর্জন করেছেন। এবিষয়ে সকল দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা করেছি।

কোন খাতে কত চুরি: তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজশাহী কারাগারের ক্যানটিন থেকে মাসিক আয় ১৫ লাখ টাকা হলেও কাগজ-কলমে দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৬ টাকা। এ ছাড়া বন্দী কল্যাণে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮৯ টাকা ও স্টাফ কল্যাণে খরচ দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৪৪ টাকা। প্রকৃতপক্ষে এই টাকা এসব ক্ষেত্রে খরচ করা হয়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিধি না মেনে বিল-ভাউচার বানিয়ে খরচ দেখিয়ে সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কারাগারে বিক্রি হয় এমন ৩৫টি পণ্যের মধ্যে ৩৩টির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হয়। এই অনিয়মের জন্য ডিআইজি,জেল সুপার ও জেলারকে দায়ী করে বলা হয়েছে, এই টাকা তাঁরা তছরুপ করেছেন। কারারক্ষী নিয়োগেও এই কর্মকর্তারা ১৫ থেকে ১৮ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
কারাগারের জমিতে কী পরিমাণ সবজির আবাদ হয়, তার কোনো হিসাব কারও কাছে নেই। পাঁচটি পুকুরে মাছ চাষ করা হলেও তারও কোনো হিসাব রাখা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়। বন্দীদের খাবার হিসেবে ১৪৫ গ্রাম ডাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৫০ গ্রাম করে দেওয়া হয়। কেউ নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ করলে নির্যাতন করা হয়। কারাগারের জমিতে হওয়া গাছের ফল বন্দীদের না দিয়ে বাইরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, কয়েদি বা বন্দীরা কোনো অন্যায় প্রতিবাদ করলে বা কাউকে জানালে হাতুপা, চোখ বেঁধে তাঁদের নির্যাতন করা হয়। প্রকৃত অসুস্থ বন্দীদের চিকিৎসা না দিয়ে টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুস্থদের, যাতে তাঁরা আরামে থাকতে পারেন। কারাগারের ভেতরে মাদকসহ নিষিদ্ধ মালামাল প্রবেশ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের একজন হলেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন্স) কামাল হোসেন। পুর্বে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কাগারারের সিনিয়র জেল সুপার হিসাবে দায়িত্বে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগ ওঠে। চট্টগ্রামের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে জঙ্গি ও কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিয়েছিলেন কামাল হোসেন। কারাগারে জেলকোড অনুযায়ী বন্দিদের মানসম্পন্ন খাবার দেওয়া হয়নি। সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে নিম্মমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। কারাগারের ভেতর মাদক সরবরাহের সুযোগ করে দেন কামাল হোসেন।

 

আদালতে হাজিরা থাকলে জেলকোড অনুযায়ী বন্দিদের দুপুরের খাবার বাবদ টাকা দেওয়ার বিধান থাকলেও কামাল হোসেনের নির্দেশে তা দেওয়া হচ্ছিল না। আমি এর প্রতিবাদ করার পর থেকে জনপ্রতি ২৬ টাকা করে দেওয়া হয়। সাধারণ বন্দিদের চেয়ে চিহ্নিত অপরাধীদের মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ দেন বেশি। কারা অভ্যন্তরে প্রতিবাদ করায় আমি কামাল হোসেনের রোষানলের শিকার হয়েছি। কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা নানা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কারা মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন। এছাড়া কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে কারা মহাপরিদর্শককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে অভিযোগ তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় কামাল হোসেনকে ২০২০ সালের অক্টোবরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি (প্রিজন্স) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে ডিআইজি (প্রিজন্স) হিসাবে রাজশাহীতে কর্মরত আছেন। ডিআইজি (প্রিজন্স) কামাল হোসেন জানান, দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই। একটি মহল মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |