শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
বশির আহমেদ : সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার ৬ সহযোগীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে বস্তায় বস্তায় ঘুষ নিতেন। এ ঘটনায় অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বড় জেলায় পুলিশ সুপার পদায়নে তিন কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের খবর পাওয়া গেছে। ঘুষ না দিলে এসপি হওয়ায় স্বপ্ন পুরন হতো না অনেকের। সব জেলার পুলিশ সুপার ও ডিআইজির অবৈধ অর্জনের অভিযোগ দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। কোন এসপির সাথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গভীর সর্ম্পক ছিল। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় কার কার যাতাযাত ছিল তার সিসি ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেনের সাথে বেশি যোগাযোগ ছিল যশোর,চট্রগ্রাম,গাজীপুর,ঢাকা,ময়মনসিংহ,সিলেট,বগুড়াসহ ১৫ জেলার এসপি অবৈধ লেনলেন করতেন প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজন পুলিশ সুপারের ব্যাংক হিসাব তলব করা হবে। বেশিভাগ এসপিদের সাথে গোপনে লেনদেন করতেন শরীফ মাহমুদ অপু।
অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন আসাদুজ্জামান খান। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, জেলায় পুলিশ সুপার পদায়নে এক থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮-১২ লাখ টাকা নিতেন কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।