শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও নোবেলের বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে আদালদে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরদিন ১৭ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের হজরতপুর সেতুর কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে শুরুতে লাশটি যে শিমুর তা নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমমে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় শিমুর স্বামী নোবেল ও তার বাল্যবন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। এছাড়া মামলায় বেশ অজ্ঞাতপরিচয় বেশকয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম নোবেল ও ফরহাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২০ জানুয়ারি মামলার প্রধান দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শিমুর। এরপর দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা পরিচালকের প্রায় ২৫টি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি।
অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অমিত হাসানসহ বেশ কয়েকজন তারকার সঙ্গে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনা করেছেন শিমু। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন।