শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট
প্রতারণার উদ্দেশেই ইভ্যালি গঠন করেন সিইও রাসেল : প্রতিবেদন

প্রতারণার উদ্দেশেই ইভ্যালি গঠন করেন সিইও রাসেল : প্রতিবেদন

গ্রাহকদের টাকা নিয়ে প্রতারণা করার উদ্দেশেই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গঠন করা হয়েছিল। বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এমন মতামত দিয়ে হাইকোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা।

তবে ই-কমার্সভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় চালু হবে কি না, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো মতামত দেয়নি বোর্ড।

আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন পরিচালনা বোর্ডের প্রধান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

সদ্য পদত্যাগ করা ইভ্যালির পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালির গঠিত হয়েছিল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করার উদ্দেশে। এর নেপথ্যে ছিলেন সিইও রাসেল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ের পাশাপাশি ক্যাশব্যাকের অফার দিয়ে আলোড়ন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ইভ্যালি নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বিপাকে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মোহাম্মদ রাসেল গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে নানা উদ্যোগের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত কথা রাখতে পারেননি। তাই প্রতারণার মামলা হলে গ্রেফতার করা হয় রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে। এরপর আদালতের নির্দেশনায় গঠিত হয় নতুন পরিচালনা বোর্ড।

২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।

গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা বোর্ড পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। পদত্যাগপত্রের আবেদন বুধবার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে ইভ্যালির নতুন পরিচালনা বোর্ডে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, তার মা ফরিদা আক্তার ও বোনের স্বামী মামুনুর রশীদকে বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের (কম্পানি কোর্ট) বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার গণ্যমাধ্যমে আসে।

আদেশে আদালত বলেছেন, পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে হবে। পাশাপাশি নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন।

হাইকোর্টের দেওয়া এ আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন (এফিডেভিট) আকারে সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |