শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে তথ্য প্রযুক্তি আইনে হারুন ওরফে বডি বিল্ডার হারুনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইমুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন পিএসসি, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন নাদভীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, লোহাগাড়া থানা ও উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর পোস্ট, স্ট্যাটাস ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।
দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে নগরীর কোতোয়লি থানায় কতিপয় ফেসবুক আইডি ও আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করেন লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা ফজলে এলাহী আরজু। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ঘটনার তদন্ত শেষে শুধুমাত্র বডি বিল্ডার হারুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহউদ্দিন জানান, ২০১৭ সালে বডি বিল্ডার হারুনসহ একটি চক্র ফেসবুকের মাধ্যমে সাইবার অপরাধের ভয়ংকর কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। বিচারিক আদালতে মোট ৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৭(২) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হারুনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর আগে এক শিল্পপতির ৯৩ লক্ষ টাকা আত্বসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা একটি প্রতারণার মামলায় ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বডি বিল্ডার হারুন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, পটিয়া, সাতকানিয়া, কোতোয়ালি ও ঢাকার মতিঝিল ও কোতোয়ালী থানায় একাধিক মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
অভিযোগ আছে, হারুন ও তার সহোদর ভাই দেলোয়ার হোসাইন, মো আনোয়ার হোসাইন, মো হেলাল উদ্দিন এর নামে প্রতারণা, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্রধারী, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আক্রমণ, বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত, মানি লনডারিং, টাকা পাচার, মাদকদ্রব্য কেনাবেচাসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে বেশ কিছু মামলা দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে।
হারুন গংরা জামাতের সক্রিয় সদস্য ও ক্যাডার বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়।