শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ঢাকায় ৮ দিনে ৮৯ মামলা, গ্রেপ্তার ২ হাজারেরও বেশি

ঢাকায় ৮ দিনে ৮৯ মামলা, গ্রেপ্তার ২ হাজারেরও বেশি

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক: গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, নাশকতা, পুলিশকে মারধর, পুলিশ সদস্য হত্যা ও চলমান অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ নানা ঘটনায় ৮৯টি মামলা হয়েছে।

২৮ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত আট দিনে দায়ের হওয়া এসব মামলায় বিএনপির ২ হাজার ১৭২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতার ঘটনায় ৮৯টি মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুলিশের পাহারায় নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়

এতে ২ হাজার ১৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীতে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজধানীর পল্টন থানায় সবচেয়ে বেশি ১৪ টি মামলা হয়েছে। এরপরেই রয়েছে রমনা মডেল থানা। থানাটিতে ৬টি মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এবং মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরাও এই অবরোধ পালন করছে। পাশাপাশি জমায়াতে ইসলামীও আলাদা করে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ তিন দিন (৩১ অক্টোবর-২ নভেম্বর) টানা অবরোধ পালন করে বিএনপি-জামায়াত। তার আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে তারা।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াত ও আওয়ামী লীগ। সেদিন দুপুরের দিকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ের কাছে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করার পর এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকদেরও ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এর ফলে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়, পুলিশের বহু সদস্যকে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

সমাবেশ বানচালের প্রতিবাদে পরদিন ২৯ অক্টোবর বিএনপি হরতাল পালন করে। হরতালের দিন সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

হরতালের পর একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি-জামায়াত। ওই কয়েকদিনে মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

প্রতিদিনের কাগজ/এসআর

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |