শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশে এখনও হুডির মাধ্যমে টাকা আসে। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, হুন্ডিতে টাকা এসেছে ৪৯ শতাংশ আর অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতা এখনও আছে বলে আমি মনে করি। আজ বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে তথ্য দেশে হুডির মাধ্যমে এখনও টাকা আসে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন হুডির মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে যে অফিসিয়াল চ্যানেলে পাঠায়। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে। এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ বলে আমি মনে করি।
হুডিতে কি পরিমাণ টাকা আসে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপাতত সঠিক পরিসংখ্যান জানাতে পারছি না। আমরা সবসময় অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক সেটা প্রত্যাশা করি। কারণ এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সবসময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে তারা টাকা কোথায় পেলো।
তিনি বলেন, আমরা অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি তাহলে কেন আসবে না। এভাবে টাকা আনলে তো লস হচ্ছে না। প্রবাসীদের শুধু প্রণোদনা নয় স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধ থাকবে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো আপনাদের কাছে সম্পর্কিত, অন্যরকম আইএমএফ আছে কি-না জানি না। একটা আইএমএফ আছে তারা তো এ ধরনের কোনো প্রশ্ন আমাদের কাছে উপস্থাপন করেনি। আপনারাই পত্রিকায় লিখছেন, এটা নিয়ে আমি জবাব দেব না। এটা কেন আপনারা বলছেন আমি জানি না।