বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী লন্ডনের সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সেক্রেটারি জেনারেল স্টিফেন টুইগের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি সংসদ সদস্যদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আন্তঃপার্লামেন্ট যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সাক্ষাৎকালে তাঁরা গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তিসহ সিপিএ-এর কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচনসহ গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সঙ্গে আরো জোরালো কার্যক্রম গ্রহণ করতে চায় জাতীয় সংসদ। এসব ইস্যুতে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে। তিনি বলেন, সিপিএর সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ অংশীদারিত্ব রয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশ সিপিএর সদস্যভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আগামী বছর পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে সিপিএর সাথে যৌথভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যেখানে সিপিএভুক্ত পার্লামেন্টগুলোর স্পিকার ও সংসদ সদস্যদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
সাক্ষাৎকালে স্টিফেন টুইগ এমডিজি ও তৎপরবর্তী এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের কাছে সমগ্র বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে। বাংলাদেশের কাছে সমগ্র বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। তাই সিপিএ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাথে যৌথভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী। বিশেষ করে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেভাবে সফল হচ্ছে, সেখান থেকে কমনওয়েলথভুক্ত ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারে। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানমালায় সিপিএ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ সাইদা মুনা তাসনিম ও সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ।