বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে এই টিকাদান। শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১৪ দিন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেওয়া হবে করোনার টিকা।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) শিশুদের করোনার টিকাদান কার্যক্রমের এই কর্মপরিকল্পনার কথা জানায়।
এর আগে ১১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ১৫ থেকে ২০টি শিশুকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা দেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী এ বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রথমে সিটি করপোরেশনগুলোতে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে কার্যকর করা হবে।’
এরপর গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই আজ বৃহস্পতিবার থেকে শিশুদের করোনার টিকাদান শুরু হবে বলে উল্লেখ করে তাদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে।
কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট থেকে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পরে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসমূহের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ টিকা দেওয়া হবে।
আরও বলা হয়, ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে শিশুদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।
সারা দেশের প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ ৫-১১ বছর বয়সী শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিন ব্যাপী ১২টি সিটি কর্পোরেশনে ৫৫টি জোন ও ৪৬৫ টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রতিদিন এক হাজার ৮৬০টি টিকাদান টিম কাজ করবে। ২৫ আগস্ট ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।