শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা: পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাতে। সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যময় পরিবেশে পালিত হবে মহিমান্বিত এ রাত। পবিত্র কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী হাজার মাসের চেয়ে উত্তম শবেকদরের রাত। আজ সূর্যাস্তের পর থেকে কাল ফজরের আগ পর্যন্ত এ রাতের তাৎপর্য বহাল থাকবে।
এ উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারা দেশের অধিকাংশ মসজিদে আলোচনা, মিলাদ, নফল ইবাদত, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।
পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মার জন্য মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী, অন্যান্য সময় ১ হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, শবেকদরের এ রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ কারণে মুসলমানদের কাছে শবেকদরের গুরুত্ব ফজিলত অতুলনীয়।
হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী, রমজানের শেষ দশকে যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে, ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে অধিকাংশ আলেমের অভিমত। শবে কদরের এ রাতে মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশেষ আসমানি কিতাব পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এ রাতকে কেন্দ্র করে ‘আল-কদর’ নামে একটি সূরাও নাজিল করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব অর্জনের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারের মধ্যদিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। পবিত্র এই রাতে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। এছাড়া সাধ্যমতো দান-সদকা করে থাকেন অনেকে।
শবেকদর উপলক্ষ্যে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সরকারি ছুটি থাকবে। এ উপলক্ষ্যে দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। বিটিভিসহ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হবে।