শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
মানুষ পুড়িয়ে গণতন্ত্র হয় না: টিআইবি

মানুষ পুড়িয়ে গণতন্ত্র হয় না: টিআইবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। আন্দোলনের মধ্যে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুনের ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর পর এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার একথা বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইভাবে রাজনৈতিক মহলকে বিবেকহীন রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট ও জীবননাশের রাজনীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মা, শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এর আগে গণপরিবহণে আগুন, ট্রেনের লাইন কেটে ফেলার মতো এসব ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনোভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি? ক্ষমতা কি মানুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান? মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতির অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।’ বলপ্রয়োগ ও সহিংসতাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মানুষকে জিম্মি, অনেক ক্ষেত্রে লাশকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল বা দলীয় এজেন্ডা হাসিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দুই রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের সব মহলের কাছে দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গরম বা দখলের নামে মানুষের জীবননাশের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসুন। অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের পথ থেকে সরে আসুন।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের মধ্যে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের। আমরা সত্যিকারের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নৃশংসতার সুযোগ সন্ধানী রাজনীতি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না। অন্যদিকে সহিংসতা প্রতিরোধের নামে বলপ্রয়োগ, সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা, ঢালাও ধরপাকড়, বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটবে, তা-ও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ‘সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চাই। সহিংসতার বিচার চাই। কিন্তু বিচার নিয়ে রাজনীতি দেখতে চাই না।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |