কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষে স্থানীয় কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরাও আউশ আবাদে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় অনেকটাই বেড়েছে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর কেন্দুয়া উপজেলায় মোট ৩৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছিল। তবে এ বছর আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬৫ হেক্টর জমিতে। তথ্যমতে গত বছরের তুলনায় এ বছর ১১৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।
এদিকে গত ৮ এপ্রিল সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে সম্প্রসারণযোগ্য আউশ (ব্রি ধান৯৮) এর বাস্তবায়নের জন্য কৃষকদের সাথে মতবিনিময় ও ধান বীজ বিতরণ করা হয়। এ সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (গাজীপুর) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার চন্দন কুমার মহাপাত্র ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা। পরে স্থানীয় ২০০ জন কৃষকের প্রত্যেকের মধ্যে ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, আউশ একটি মধ্যবর্তী ফসল। বোরো ধান কর্তনের পর এবং আমন ধান চাষের আগ পর্যন্ত যে সময়টুকু পাওয়া যায়, এ সময় কৃষকদের বেশির ভাগ জমিই পতিত থাকে। তাই এই সময়ে পতিত জমিতে আউশ ধানের চাষ করে স্বল্প খরচে ও পরিচর্যায় কৃষকরা বেশ লাভবান হতে পারেন। আমরা সব সময়ই কৃষকদের আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করাসহ নানারকম পরামর্শ ও সরকারি সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছি। আশা করি, আগামী বছরগুলো আমার উপজেলায় আউশ ধানের আবাদ আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।