রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
ইকবাল হোসেন : বছরের পর বছর পুলিশের পোশাকের কাপড় তৈরি নিয়ে অভিযোগ থাকলেও গেল তিন বছর ধরে অভিযোগমুক্ত পোশাকের কাপড় তৈরির কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে এশিয়াটিক গ্রুপের দুটি প্রতিষ্টান এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস। সাবেক আইজিপি বেনজীরের সমর্থপুষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানকে পরাস্ত করে বৈধ টেন্ডারের মাধ্যমেই সরবরাহের কাজটি পেতে সক্ষম হয় এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস। এ কারণে বেনজীর আহমেদের আইজিপি থাকাবস্থায় নানারকম ধকল পোহানোসহ ব্যবসায়িক ভাবেও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে। কিন্তু সম্প্রতি এশিয়াটিক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্টান এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস নামেই উল্টো বেনজীরের তকমা লাগিয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো পুলিশের পোশাকের কাপড় সরবরাহের কাজ আবারও বাগিয়ে নেয়ার বিভিন্ন পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে। পুলিশের পোশাকের কাপড় বানানোর ঠিকাদারী নিয়ে ২০১৫ সালে খুবই নিম্নমানের, পোশাকের কাপড় সরবরাহ করে বিতর্কের সৃষ্টি করে কয়েকটি প্রতিষ্টান।
সেসব পোশাকের কাপড় নিয়ে পুলিশের সকল মহলে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়, নানা অভিযোগও উঠে। যে কারণে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে সেসব প্রতিষ্ঠানের পোশাকের কাপড় সরবরাহের অনুমতিপত্র বাতিল করতে বাধ্য হয়। তবে টেন্ডারের মাধ্যমে সকল নিয়ম কানুন পালন করেই তিন বছর আগে পোশাকের কাপড় তৈরি ও সরবরাহের কাজটি পায় এশিয়াটিক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্টান এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস। এখানে উল্লেখ্য যে,ইজিপি টেন্ডার প্রক্রিয়ার বাংলাদেশ সরকারের একটি স্বচ্ছ ও আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থা যার মাধ্যমে কোন অনিয়ম- দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি করার কোন সুযোগ নেই বলে জানান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. আব্দুল্লাহ আল- বাকী। পুলিশের কাপড় গ্রহণকারী সংস্থা ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে এশিয়াটিক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্টান এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস নামক প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ করা পুলিশের কাপড় নিয়ে আর কোনরকম অভিযোগ বা অসন্তোষের ঘটনাও ঘটেনি।
কিন্তু চুক্তির লঙ্ঘন করার কারনে কিছু প্রতিষ্টানকে পুর্বে কালো তালিকাভুক্ত করেন এবং বারবার নিম্নমানের পোশাকের কাপড় সরবরাহ দিয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো বরাবরই পুলিশের পোশাকের কাপড়ের ঠিকাদারী হাতিয়ে নিতে এশিয়াটিক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্টান এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস বিরুদ্ধে নামে বেনামে মিথ্যা নানা অভিযোগ তুলে হয়রানি করে আসছে। মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ভাবে তৈরি করা অভিযোগগুলোর ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার কয়েক দফা তদন্ত করেও এশিয়াটিক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্টান এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস কাপড় তৈরি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়মের সত্যতা পায়নি। এ কারণে গত তিন বছর যাবত অভিযোগমুক্ত ভাবেই এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস সরবরাহ করা কাপড় গ্রহণ করে আসছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার। কিন্তু বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো এ মুহুর্তে নতুন অভিযোগের ফাঁদ পেতেছে।
তারা সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো অভিযোগে এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস এর কপালে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এর তকমা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সাবেক আইজিপি বেনজীরের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কমিশন লেনদেনের সম্পর্ক ছিল বলেও মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। বাস্তবে বেনজীর আহমেদ এর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা দুই প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডারে পরাস্ত করেই এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস প্রথম দফায় পোশাকের কাপড় তৈরি ও সরবরাহের কাজটি পেতে সক্ষম হয়। ওই টেন্ডারে পরাজিত একাধিক প্রতিষ্ঠান আরো এক দশক আগে থেকেই পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে রয়েছে। এরপরও বিশেষ সুবিধা হাতিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে এই চক্রটি।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণকারী, সৎ কর্মকর্তা হিসেবে সমধিক পরিচিত বর্তমান আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এর দায়িত্বকালেও এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস পর পর দুই দফা পুলিশের পোশাকের কাপড় সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। এছাড়াও বিগত সময়েরও সাবেক আইজিপি নুর মোহাম্মদ, সাবেক এ কে এম শহিদুল হক, সাবেক আইপিজি ড.জাবেদ পাটুয়ারী এর দায়িত্বকালেও এইচ এইচ টেক্সটাইল ও সানজানা ফেব্রিকস পুলিশের পোশাকের কাপড় সরবরাহের কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয় এবং সুনামের সাথে কাপড় সরবরাহ করেন। এশিয়াটিক গ্রুপের লজিটিক শাখার প্রধান মোঃ কামাল হোসেন জানান, বরাবরই স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়ে আসছে এশিয়াটিক গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা দাবি করেছেন এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আগের অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল চক্রান্তের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধও জানিয়েছেন।