শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন

আপডেট
একজন সফল পুলিশ অফিসারের যে গল্প, কল্প কাহিনিকেও হার মানিয়েছে !

একজন সফল পুলিশ অফিসারের যে গল্প, কল্প কাহিনিকেও হার মানিয়েছে !

# কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকেই সেবার মানোন্নয়নে একধাপ এগিয়ে।
# ওসি ফয়জুল আজিম নোমান সৎ এবং ন্যায় নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে আলোচনার নতুন দিগন্তের সূচনা করেন।
#জনগণ নিখুঁত সেবা পেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে।
# স্মার্ট এবং নিরাপদ শহরে রূপান্তর করতে সকল সচেতন মহলের সহযোগিতা কাম্য।

মনসুর আলম মুন্না ( কক্সবাজার ) ___
সততা এবং নিষ্ঠাবান যাকে বলা হয় তিনিই একজন, ওসি ফয়জুল আজিম নোমান, বর্তমানে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।  তিনি একাধারে মেধাবী এবং দক্ষতার সহিত সেবা প্রদানে একধাপ এগিয়ে কাজ করেছেন।  নাগরিক সেবায় আইনী সহায়তায় একধাপ এগিয়ে রয়েছেন।  নিয়মিত পাল্টে যাচ্ছে থানার সেবার মান। যা একাধারে কক্সবাজারের আপামর জনসাধারণের জন্য আনন্দ বয়ে এনেছে।  যোগদানের পর থেকেই সেবা প্রত্যাশীরা সকলেই নির্বিঘ্নে সেবা নিতে পেরে একেবারেই স্বতস্ফূর্ত।

ওসি ফয়জুল আজিম নোমান একজন সৎ এবং দক্ষতার পরিচয় দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।  নেই কোন অলসতা এবং গাফিলতি। নিয়মিত গুরুত্বসহকারে বাই সিরিয়ালে নাগরিক সেবার যে মানমর্যাদা ধরে রেখেছেন, এইভাবে যদি সেবা দেয়া হয় তাহলে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে একটি আত্মবিশ্বাসের ভুমিকা বয়ে আনবে।

পুলিশ জনগনের আস্থার একমাত্র ঠিকানা এমন পরিস্থিতি মানুষের সামনে তুলে ধরতে ফয়জুল আজিম নোমানের যত সাধনা। দীর্ঘদিন সততার সহিত কাজ করে দেশের বিভিন্ন থানাগুলোতেও সুনাম কুঁড়িয়েছেন ওসি নোমান। পরিস্থিতি যেমনই হোক সদা- সবসময় পরোপকারীতে নিজেকে একেবারেই বিসর্জন দিয়েছে এবং দিতেই প্রস্তুত। এরই প্রেক্ষিতে কক্সবাজার যোগদানের পর থেকেই কক্সবাজারের জনগণের জন্য নিজেকে সর্বোচ্চ ভালোটা দেয়ার চেষ্টা করেন ওসি নোমান।

একান্ত সাক্ষাতে ওসি নোমান বলেন, যতদিন বেঁচে থাকি আমি যখন যেখানেই থাকিনা কেন,  কোন মানুষ যাতে আমার দায়িত্ব থেকে হয়রানি না হয় সেইভাবে প্রত্যাশা রাখি। আমি সকল ধরনের জনগণকে নির্বিঘ্নে সেবা দিতে প্রস্তুত।  আমার জানা মতে আমি কোন মানুষকে জানা অবস্থায় হয়রানি করিনি। আমি যতটুকু পারি নিজের সততার পরিচয় তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। ওসি নোমান আরোও বলেন,  ইতিমধ্যে কক্সবাজার যোগদানের পর থেকেই সবসময় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে কাজ করেছি। এবং অপরাধী ধরতে সক্ষম হয়েছি। আরোও অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।

ছিনতাইকারী, চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, লুটপাটকারি, জমি জবরদখলকারী সহ একাধিক অপরাধী ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছি। কোন প্রকার তদবিরে কাজ হয়নি। সকলকেই আইনীভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ সকলের সহযোগিতায় আরোও এগিয়ে যেতে চাই। আপনারা এবং কক্সবাজারের সচেতন নাগরিক যদি পাশ্বে থাকে তাহলে নিরাপদ কক্সবাজার উপহার দিব। সেবার মানোন্নয়নেও যথেষ্ট ভুমিকা রাখব। পাশাপাশি স্মার্ট থানায় রুপান্তরের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।

থানা প্রাঙ্গণে দেখা হয় রহিমা বেগমের সঙ্গে,  স্বামী স্ত্রী’র প্রতিদিন ঝগড়া হয়। মারধর করে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করেছে প্রতিদিন, কিন্তু থানায় অভিযোগ দেয়ার পর ওসি খুবই শালীনতার সহিত মিমাংসা করে দিয়েছে। আমার স্বামী এখন খুবই ভাল হয়ে গেছে।  আমাদের মধ্যে আর কোন অশান্তি সৃষ্টি হয়না।

একইভাবে দেখা হয় পৌরসভা পেশকারপাড়ার বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের সঙ্গে।  দীর্ঘদিন বড় ভাইয়ের বউয়ের কারণে নিজের মায়ের মধ্যে ঝগড়াযাটি। ভাবীর মামলা থেকে বাঁচতে থানায় হাজির হয়ে বিষয়টি ওসি নোমানের নিকট অবগত করেন। ওসি তৎক্ষনাৎ দায়িত্বরত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে গুরুত্বসহকারে দেখে সঠিকভাবে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। যাতে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন।  এতে আমি খুবই আনন্দিত। যদি এমন সৎ পুলিশ অফিসার থাকে তাহলে কক্সবাজারের মানুষ সেবা নিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করবেন।

শুধু রহিমা বেগম, মুজিবুর রহমান নয়ই অসংখ্য মানুষ ওসি নোমানের সেবা পেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে বলে জানান। এমন সৎ এবং ন্যায় নিষ্ঠার পুলিশের প্রতি সকলেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দিন। পাশাপাশি একটি নিরাপদ শহরের রূপান্তরিত করতে সহযোগিতা করুন।

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পরই ওসি নোমান কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকেই পুরো থানার চিত্রও পাল্টে যায়।  থানার অভ্যান্তরীন যে সকল বিষয় রয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক করে নিয়েছে। সুন্দর এবং সুশৃঙ্খল নিয়মে কাজ করে যাচ্ছে।  ওসি নোমানের সাথে কাজ করতে পেরে অন্যান্য পুলিশের কর্মকর্তারাও খুবই সেটিস্পাইড হচ্ছেন।  একাধারে দক্ষতা এবং সততার জন্য এমন সূনাম কুঁড়িয়েছে।

ওসি নোমানের আরোও একটি গুণাবলীর কথা বলা যায় যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের যে সকল অপরাধীরা হামলা চালিয়েছিল, বিএনপির জামায়াত এবং ছাত্রদের উপর  বর্বর হামলা চালিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। তাদের প্রত্যেককেই গ্রেফতারে যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছিল। এবং এসব অপরাধীদের মধ্যে অনেককেই গ্রেফতার করে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।  আবার অনেক অপরাধীদের গ্রেফতার করতে একচেটিয়া কাজ করে যাচ্ছেন।

নিয়মিত অক্লান্ত পরিশ্রম করে অপরাধীদের ধরতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।  এই অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ওসি নোমান। গ্রেফতারকৃত আসামিদের কোটি তদবির এবং অনৈতিক সূবিধার প্রস্তাব দিয়েও কোন কাজ করতে পারিনি ওসি নোমানকে। ওসি নোমানের এমন সৎ কর্মকাণ্ড দেখে সকলেই এখন সোজা হয়ে যাচ্ছেন বলে জানান সচেতন মহল।  তবে অপরাধী যেই হোক কোন ছাড় দিবেননা বলে জানান ওসি নোমান। এতে বলা যায় যে, এমন সৎ এবং ন্যায় নিষ্ঠার পুলিশের দেখা মেলক সকল স্থরে স্থরে। জনগণের যে সব অঙ্গীকার,  পুলিশ হোক জনতার।  শান্তি এবং নিরবে নিবৃত্তে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে থাকুক এই বাংলার আপামর জনসাধারণের। পুলিশই একমাত্র জনগণের আস্থার ঠিকানা বলতে বুঝিয়ে দিয়েছে ওসি ফয়জুল আজিম নোমান।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |