বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সময় রাইফেল দিয়ে গুলি করা গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহফুজ কনকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে গোয়েন্দা শাখা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার গুলি করার বিষয়টি নিয়েও তদন্ত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফখরুদ্দিন ভুঁইয়া। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরেই তাকে গোয়েন্দা শাখা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।’
জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক কনকের বিষয়ে নানান গুঞ্জন চলছিল। তবে সেসবের কোনো সত্যতা পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে জেলা পুলিশের একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত ১ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলার সময় একটি চাইনিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়েন। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। তবে সেই রাইফেলটি কনকের নামে ইস্যু করা নয় বলে জানায় পুলিশের একটি সূত্র। অন্য এক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে থাকা রাইফেলটি নিয়ে নিজেই গুলি লোড করে ছোড়েন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দিকে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, চাইনিজ রাইফেলের ছোড়া গুলিতেই মারা গেছেন যুবদল কর্মী শাওন। কারণ তার দেহের অন্য কোথাও ছোড়া গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
গত ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে বাধা প্রদানকে কেন্দ্র করে সংঘাত শুরু হয় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। এতে বিএনপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়। নিহত হয় যুবদল কর্মী শাওন প্রধান। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশের ছোড়া গুলিতেই নিহত হয় শাওন। এ ঘটনায় শাওনের ভাই মিলন পাঁচ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করলেও আরেক ভাই ফরহাদ দাবি করেছেন তারা কোনো মামলা দায়ের করেননি।
শাওনের মৃত্যুর পরপরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে উঠে আসে উপপরিদর্শক মাহফুজের চাইনিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়ার দৃশ্য। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। তার নামে রাইফেল ইস্যু করা না থাকলেও কীভাবে তিনি গুলি ছোড়ার অনুমতি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অনেকে।