বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের) টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ ১১ আগস্ট থেকে। পর্যবেক্ষণের পর সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে এ বয়সী শিশুদের গণহারে টিকাদান শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুরুর দিনে ঢাকায় পর্যবেক্ষণমূলক শিশুদের করোনা টিকা গ্রহণে ১৬ শিক্ষার্থীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শিশুরা বয়সে একেবারে ‘ছোট্ট’ হওয়ায় পর্যবেক্ষণমূলক টিকা বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরকে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণমূলক শেষে ২৫ আগস্ট থেকে সারাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে পূর্ণাঙ্গভাবে শিশুদের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা প্রয়োগ করা হবে। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় ২৫ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম রাউন্ডের টিকাদান চলবে। এর দুমাস পর টিকার দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রেবিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ফাইজারের আরও ১৫ লাখ ডোজ টিকা সম্প্রতি অনুদান হিসেবে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ফাইজারের টিকার ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ দেশে আসে গত ৩০ জুলাই।
গত এপ্রিলে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে দেশে এ বয়সী প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশু রয়েছে।