শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টারশেল বান্দরবানের ঘুমধুম এলাকায় এসে পড়ার ঘটনায় দেশটির রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে আজকে আমরা ডেকেছি। একটা মৌখিক নোটের মাধ্যমে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে।যে ঘটনা ঘটেছে সেটার জন্যও তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব। প্রসঙ্গত, রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে ওই মর্টারশেলগুলো এসে পড়ে। সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। এতে কেউ হতাহতও হয়নি।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা মর্টারশেল দুটি ঘিরে রেখেছেন। নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ওপারে গত দুই সপ্তাহ ধরে গোলাগুলি হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতদিন পাহাড়ে গোলা ছুড়লেও আজ উত্তরপাড়ায় মর্টারশেল পড়েছে। এতে স্থানীয়রা আতঙ্কে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর পাড়ায় ভারী অস্ত্র নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে ওদের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে ঝামেলা চলছে। আমরাও বিষয়টি জেনেছি। যা কিছু ঘটছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। আমরাও সতর্ক আছি।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, মর্টারশেলের ঘটনায় আশপাশের মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।